উদাসী বারান্দায় গোধূলির আনাগোনায়
তোমাকে আজকাল খুব স্বাভাবিক মনে হয়
তুমি সন্ধ্যার মতই নিশ্চুপ হয়ে যাও
চোখের পাতা থেকে উঠিয়ে নিয়ে নেও
প্রেমদগ্ধ অসহায় কিছু দীর্ঘশ্বাস।


তারপর খুব সহজেই বলো আজ আসি
পার্কের সুদীর্ঘ রাস্তাটা যেন এক পলকেই পাড়ি দেও
আমি নিশ্চুপ বসে থাকি হৃদপিন্ডটা নরে উঠে
ফোন বাঁজতে থাকে তুমি জানাও বাড়ি ফিরেছ
আমি হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহারে বাড়ি ফিরি।


আবার রোজকার রুটিনের বিকাল তিনটে
সেই ফাল্গুনী চত্বর দুই কাপ চা মুখামুখি নিরবতা
হটাৎ জীবনানন্দের আসমানী নয়ত বনলতা
তারপর পত্রিকার হেড লাইন আর সাম্প্রতিক বিশ্ব
তারপর খুব সহজেই বলো আজ আসি।


তারপর বিষাদের অবগাহন নেমে এসে তীর্থে
একের পর এক ফাঁকা হতে থাকে অনুভূতির গল্প
অন্ধকারের তুলি ছুঁয়ে দেয় টকটকে লাল সূর্যের দেহ
আমি সিগারেট ফুঁকাতে ফুঁকাতে বাড়ি ফিরি
অজ্ঞাত আত্মহত্যার উদ্যান পাড়ি দিয়ে হে বসন্ত।