আমি তোমাদের নিমিত্তে কোনো ফুল দেই না
জানো।
ফি বছর প্রভাতফেরির এই দিনটাতে যখন জনমানুষ ছুটে আসে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করতে,
তখন তোমাদের
ডুঁকরে ডুঁকরে কাঁদার অনুভূতি স্পর্শ করে
আমাকে।
বার বার ফুল কিংবা শ্রদ্ধাঞ্জলী
দিয়ে
তোমাদের অপমানিত করতে চাই না।
বরং, চাই তোমাদের আশির্বাদ।
আমরা যেন বাঙালী হতে পারি।
পূর্ণাঙ্গ বাংলায় যেন কথা বলে বিশ্বের সমস্ত বাংগালী।
সহস্রাধিক বাংলা মিডিয়া,রমণী, ঠোঁটপালিশ থেকে শুরু করে পোষাক আশাক।
আজ যেন
তোমাদের স্মরণের উদ্দেশ্যে নির্মিত
মিনারের সাথে এই ফুল দিয়ে গড়া শ্রদ্ধাঞ্জলীর কোনো
সমন্বয় নেই।
তোমাদের সাথে এই জাতির,এই
প্রজন্মের আত্মীক সম্পর্কটা কতটা ক্ষীণ,
তা ক্ষণে ক্ষণে অনুভব করি।
মাঝে মাঝে মনে হয়,ধর্মীয়,সামাজিক এবং
প্রথাগত
সব কিছুই এখন শুধুমাত্র নিছক আনুষ্ঠানিকতায়
পরিনত
হয়েছে।


মিনারের পাদদেশে ৬৫ বছর বয়স্ক যে কৃষ্ণচূড়া
গাছটি দেখেছিলাম, সে এই আনুষ্ঠানিকতা
বোঝেনা।
তাই,প্রত্যহ প্রভাতে মিনারের
মেঝেতে
এক নান্দনিক বিছানা দেখা যায়।
কেউ একে
বলে লাল
রঙা সুন্দর ফুলদের আধার।আমি বলি,"জমে
থাকা রক্ত।
শুকায়নি এখনো।"