তোরা কি হায়েনা নাকি কালসাপ,মানুষ মারিস বিষে
পশুর চেয়ে অধম হলি, আধুনিকতার দেশে।
রাকীব,রাজন কোথা গেল; কোথা সেই সুর মিষ্ট
মৃত্যুপুরীর খোরাক হল, তোর থাবায় হয়ে পিষ্ট।
এত নিষ্ঠুর, এত পাষণ্ড বাংলা মায়ের বুকে
মোর সন্তান ব্যাথায় ককায়, তুই হাসিস সুখে।
রাজন বাবা আয় বুকে আয়,মা ডাকছে দুর থেকে
কাফনে মোড়া মূখখানা তোর, অশ্রু আমার চোখে।
হাজার তারার দেশে যাবি, তুইতো থাকবি বেশ
শূন্য ঘরে তোর বিহনে বুলাবে কে মোর কেশ।
সন্ধেবেলা পায়ের ব্যাথায় কষ্ট পেলে মুই
নরম হাতের জাদুর মালিশে দুঃখ ভূলে শুই।
তোর যেবার বসন্ত হল, সেদিনেরই কথা
শরীরের ব্যাথায় ককাতিস তুই, মোর অন্তরে খেত খোচা।
মাঝরাতে মা মা করে কেঁদে উঠতিস সদা
নাড়ির টানে ঘুম বিহনে রাত কাটতো আধা।
বড় মাছের ভাজা মাথা আর গরম ভাত
দেখলে জিভে জল আসতো খেতিস গপাগপ।
তোর প্রিয় পুইশাকের ঝোল আর শুটকি মাছ
রান্না করা ছেরেছি সেটা হয়েছে বারো মাস।
সন্ধেবেলা তোর টেবিলে লংটনেরই আলো
সুর করে পড়তিস যবে লাগতো বড় ভাল।
বড় হয়ে ব্যারিস্টার হবি এই ছিল তোর আশা
গরীবেরা পাবে, অন্ন-বস্ত্র তোর সাথে করে দেখা।
ওরে ও শয়তান, ওরে ও পিশাচ কিবা দোষে মিছে
মোর ব্যাটারে মেরে ফেললি, পাঠালি কবর দেশে।
মোর রাজা তোর ছেলে হত যদি, হত যদি তোর ভাই
মেরে কি তারে লাশ বানাতিস মানবতা তোর নাই
তোর ছেলে-মে ভাল আছে,ভাল সদা থাক চাই
তুই একা জেলে থাকবি, মোরও আর কেউ নাই।