ছুটন্ত বাসে ছুটিতেছি আমি
হৃদয়ের ব্যাথাগুলো জানে অন্তর্যামী
বাসখানা ভরপুর লোকেলোকারন্ন
তিল ধরার যায়গা নেই, স্পেস শূন্য।
দুই পায়ে দাড়িয়ে আমি বোকা অন্তু
ল্যাপটপ একহাতে, বাঁকা শিরতন্তু(মেরুদণ্ড)
আর এক হাত বারিয়ে, বাসেরও হ্যান্ডেল
জোড় হাতে ধরে থাকি, আগে পিছে প্যান্ডেল।
সামনে দুই মেয়ে, এক পায়ে দাড়িয়ে
গল্পের খই ঝাঁরে শ্লীলতা ছাড়িয়ে
পিছনেতে চেয়ে দেখি, এক গণ্ডা বউদি  
শরীরের বিশালতায় আমি চীকা-চণ্ডী।
দুই দিকে জমদূত, আমি মাঝে অন্তু  
হিতাহিত ভুলে হয়ে গেছু জন্তু।
মেঘ মাঝে বসে , তুমি হাস মিটমিট  
মোর ব্যর্থতা দুঃখে কেন হায় এতো সুখ
ভাবি তোর দিকে তাকাবোনা ফ্যালফ্যাল  
চোখদুটো তবু হায় মানে না কোন বল।  
ড্রাইভার বোকারাম সাঁ সাঁ গাড়িতে
ব্রেক করে লজ্জা ঢাকে,  খুক খুক কাশিতে
জড়তার টানে আমি বোকা অন্তু  
মেঝেতে খাবি খাই উপরে চার জন্তু
আড়চোখে চেয়ে দেখি মেঘেরও বুড়ি
রাগে রাঙা মুখ আড় চোখ কোনে পানি
সব দিকে শত চাপ, নয় হরিভক্তি
রাগে দুঃখে মনে হয় টানি জীবনের পরিসমাপ্তি।