পটভূমিঃ


(দীর্ঘ ১৩ বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের পর আজ মহারাজ তার গবেষণায় সফলতা লাভ করেছেন। তাঁর এই নতুন আবিস্কার তাঁর বহুদিনের চাওয়া পাওয়ার অবসান ঘটাতে চলেছে। আর কিছু ক্ষণের মধ্যই. এবার তিনি মহাকাশে গ্রহ থেকে গ্রহে আলোকের গতিতে ছুটে চলবেন। তাঁর এই আধরা স্বপ্নকে সফল করতে তিনি এক, স্পেস শাটল তৈরি করেছেন যার গতিবেগ ২৯৯ ৭৯২ ৪৫৮ মিটার/সেকেন্ড (আলোর গতিবেগ); আর যার নাম......"ক্যাস্পিয়ান"।)


এবার শুরু হল, কাউন্ট ডাউন ১০,৯,৮,৭,...১,০, Start...


আজ সকাল ৯ টা ক্যাস্পিয়ান চলেছে আলোর গতিতে,
মাতৃভূমি পিছে পড়ে রয়'
মনে আজ শুধু মহাকাশ
জাগে,ফেলে আসা জীবন ওসব...............অতীতে।


ক্যাস্পিয়ানের গতি; আমার মনের বেগ
মহাকাশের টানে ছিন্নকরে সব আবেগ,
নীল গ্রহটা! পিছে পড়ে রয়
প্রাণের যত কথা আজ ভাষা হারায়;
তবু ছুটে চলেছি, এক অমোঘ টানে
গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে, বিধির বিধানে।


আমি এখন অনেক দূরে;
প্রায় ৩০০ আলোকবর্ষ,
হোপ্স নামক গ্রহটাকে
এখুনি করব স্পর্শ।


সবুজ রঙা এই গ্রহটা নেবুলাতে মোড়া;
চোখে যেন এবিডো জড়াচ্ছে মাস্কারা।


উপর থেকে হোপ্স'কে দেখতে, উফফ! কি মায়াময়;
ভিতরে এর বিষের বাস্প প্রাণটা রাখাই দায়।


এখন আমি অনেক সতর্ক;আর একটু সাবধানী
নেবুলা আর ব্যারিয়ান্স থেকে দূরত্ব রাখতে জানি।


ওই তো সামনে নতুন গ্রহ ইরা'জেড;
সোনালি আর রুপালী রঙের; যেন কালার শেড।


এ গ্রহতে আছে ইকুইনক্স, দিনরাতের খেলা
জলের ধারা যেথা বয়েই চলে সারাদিন সারাবেলা।
গাছে গাছে ওই ফুল ফুটেছে আমান্ডা, আর মারথা,
সেন্টরিনা পাখির ডাকে পেলাম প্রাণের বার্তা।


এইতো আমার নতুন দেশ,
নেইকো যেথায় হিংসা,দ্বেষ-
পেয়েছি হেথায় ভালবাসার রেশ;
পেয়েছি এখানে শান্তি,
ইরার স্নেহের নরম পরশে;
ঘুচেছে সকল ক্লান্তি।


ইরার সাথে ঘর বেধেছি,
আজ হেথা নতুন প্রাণের আশায়।
বহু আলোকবর্ষ পার করেও
তবু নিল গ্রহটা প্রানে উঁকি দেয়।
তবু নীল গ্রহটা প্রাণে উঁকি দেয়.........