হে শুচিস্মিতা!
তোমার মিষ্টি হাসির উজ্জ্বল আলোয় ঘুচে যায় কৃষ্ণতা।
আঁধারে মিলে আলোর পথ,
চলে সেথায় মোর অনুসন্ধিতসু রথ-
ঐ সুন্দর হাসিমুখ হয়তো খুঁজে পাবো সীমানায়।
আত্মভোলা মন তাই এ পথ অতিক্রম করতে চায়।


হে সুহাসিনী!
দিন যায়, যায় রাত- তবু বিরহের দিন গুণি।
হোক বিরহের অবসান,
বিরহের স্থলে তোমার হাসি হোক দীপ্তিমান।
তোমার স্পর্শে বেজে উঠুক মোর হৃদয়-বাঁশি।
গোধুলির আলোয় তোমার হাসিতে মোর হৃদয় হোক বানভাসি।


হে নিশাচর রাজকন্যা!
তোমার সাথে রাত্রি জাগবো, হয়ে আনমনা।
তোমার নিমিত্তে নিশিরাত জাগি, রচি কাব্যগাঁথা-
হয়তো সে কাব্য আঁধারে হারাবে, তবু থামাই না মোর কথা।
ঈষৎ হাস্যে ঘুচাবো মনে বাস করা শত ব্যথা,
তোমার ব্যথার জন্যে যেন জায়গার কমতি না থাকে সেথা।


হে নীলাঞ্জনা!
নীলের মাঝে আঁকবো তোমার সদাহাস্যোজ্জ্বল মুখখানা।
নীল আকাশ আর নীল সাগরের ব্যবধান ঘুচে যাবে,
যদি তোমার বিরহে এ মনের তারা সব খসে পড়ে যাবে।
মন বুঝেনা আপন কথা- দিয়ে যায় শুধু ব্যথা,
মনের গহিনে লুকানো অগাধ প্রেম তার কেবলই দুর্বলতা।


ওগো তনয়া! ওগো সুনয়না!
কোনো বিশেষণ খুঁজে নাহি পাই তোমার নিমিত্তে,
বেঁধে রেখো আমায় সযতনে সখী তোমারো মনের বৃত্তে।