রচনা কাল - ফেব্রুয়ারী ১৯৮৯


আমি আর্মেনিয়ার ভূমিকম্প দেখিনি
কিন্তু খবর শুনেছি;  টিভিতে দেখেছি এবং
কাগজেও কিছু পড়েছি
আমি হিরোশিমার ইতিহাস পড়েছি
কিন্তু ঘটনা ঘটতে দেখিনি।
আমি অন্য কোন রাষ্ট্র দেখিনি
কিন্তু বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে
ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা এবং বীভৎসতার
কিছু কথা শুনেছি;
যা শুধু অস্থিরতাকেই বাড়িয়ে তোলে বহুগুণ!
এবং ফলাফল বরাবরই
খারাবের দিকেই ধাবিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
প্রায়শই শোনা যায়
নূতন মারণাস্ত্রের নাম,
যা শুধু ধ্বংসই বয়ে আনতে পারে।
মানুষ তো মানুষেরই জন্য!
দুর্বলের পাশে দাঁড়িয়ে
সবল তাকে সাহায্য করবে সর্বতোভাবে
এইতো বিধান সকল ধর্মের!
যেখানে অগণিত মানুষ অনাহারে এবং
বিনা চিকিৎসায় মরছে প্রতিদিন,
অথচ আশে পাশেই অপব্যয় এবং
অহেতুক উল্লাস চলে সমান তালে।
বিশ্বের বিবেকবানদের কাছে আমার দাবি–
তোমরা একটু ভাব তাদের জন্য
যারা অভুক্ত, অসুস্থ্য এবং গৃহহীন।
মানুষের বিপদের বন্ধু হয়ে
সবার অন্তরের মনিকোঠায়
নিজের ঠাই করে নাও এবং
মানব জনম সার্থক কর!
এত বিপুল ঐশ্বর্য কি
মরণ থেকে তোমাকে রুখতে পারবে?
তোমার মৃত্যু হলে
ফেলে যাওয়া সম্পদ এবং
অগণিত অনুচরেরা তোমার কতটুকু কাজে আসবে
সেটা ভাবা দরকার।
মানুষকে আত্মীয় এবং পরম বন্ধু বলে গ্রহন করলে
দেখবে –
পৃথিবীটা সুন্দর আবাস স্থলে
অবশ্যই পরিণত হবে।