অবসন্ন চাঁদ

অবসন্ন চাঁদ
কবি
প্রকাশনী মা সেরা প্রকাশন
সম্পাদক মাহবুব কামাল
প্রচ্ছদ শিল্পী ধ্রুব এষ
প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বিক্রয় মূল্য ৩০০
বইটি কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

ভূমিকা

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর শব্দ দিয়ে কবিতা লেখা হয়, তাই কবিতা যারা ভালবাসে তারাও সুন্দর শব্দের মত, ছন্দের মত, সুন্দর আবৃত্তির মত। কবিতা দূরদৃষ্টি অন্তর্দৃষ্টি বোধশক্তি ও বিচক্ষণতার প্রতীক। এই জন্য কবিতাকে সাহিত্যের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম বলে ভাবা হয়। কল্পনাশক্তিই জ্ঞানের মৌলিক শক্তি, কল্পনা দিয়েই কবিরা কবিতা লিখেন, বিজ্ঞানীরা আবিষ্কারের পথে নতুন নতুন সৃষ্টি উদ্ভাবন করেন। সাহিত্য ও বিজ্ঞানের মধ্যে দারুন এক ঐকতান রয়েছে।

যে জাতি সাহিত্যে যত উন্নত সে জাতি বিজ্ঞানেও তত উন্নত।

বিজ্ঞানী, শিল্পি, কবি, সাহিত্যেক যে দেশেই জন্মগ্রহণ করুক না কেনো তিনি ভূগোলের বলয়ে আবদ্ধ নন, তার জ্ঞানের আলো, সূরের ঝংকার ছড়িয়ে পড়ে সবখানে।

তিনি সর্বকালের, সর্বদেশের, তিনি সব মানুষের হৃদয়ের প্রতিবেশী।

অবসন্ন চাঁদ কাব্যগ্রন্থের অধিকাংশ শোক ও দুঃখের কবিতা। করোনা

কালীন সময়ে বিশেষ করে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ কে সামনে করে বিশ্বের যে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এমনি এক সংকটকালীন সময়ে কবিতাগুলো লেখা।

সমাজের বৈষম্য, অর্থনৈতিক অবিচার, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, যুদ্ধ, বক ধার্মিকদের ধর্মের অপব্যাখ্যা

কৃতিমান মানুষদের স্মৃতিও কর্মকথা, নারী বৈষম্য অবিচার, শিক্ষা, কলহ ও হিংসা, মধ্যবিত্তের কান্না, আত্মীয়ের প্রতি অবহেলা, অকৃতজ্ঞতা ও সীমালংঘন, কবিতায় উঠে এসেছে বার বার।

কাব্যগ্রন্থটি কুয়াশাঘেরা অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজে কিছুটা হলেওযদি আশারপ্রদীপ জ্বালাতে সাহায্য করে, তাহলে ভাববো কবিতা লিখা সার্থক হয়েছে। একজন পাঠকের কাছেও যদি এই কাব্যগ্রন্থের একটি কবিতাও যদি প্রিয় হয়ে ওঠে, কোন আবৃত্তি শিল্পীর কণ্ঠে যদি একটি কবিতাও পঠিত হয় তাহলেও ভাববো কবিতার জয় হয়েছে। কাব্যগ্রন্থের অধিকাংশ কবিতা ছন্দের মিল রেখে, বিষয়ভিত্তিক লেখা হয়েছে। কবিতাগুলো পড়লে বা আবৃতি শুনলে চোখে পানি আসবে এটা আমার বিশ্বাস।

অবসন্ন চাঁদ কাব্যগ্রন্থটি আগ্রহ সহকারে প্রকাশ করার জন্য মা সেরা প্রকাশনের এর স্বত্বাধিকারী বিশিষ্ট সাংবাদিক, কবি ও প্রকাশক দেওয়ান মাসুদা আপাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই।

শুভেচ্ছান্তে মাহবুব কামাল পূর্ব খাবাশপুর, ফরিদপুর

উৎসর্গ

আমার শ্রদ্ধাভাজন প্রয়াত পিতা অ্যাডভোকেট আব্দুল আলিমৃধা যাকে দেখলে সততার অনুপম দৃষ্টান্ত মনে হতো। আমার প্রয়াত মাতা শাহ্ বেগম লুৎফুন্নেছা পরি, যিনি ছিলেন পরম অতিথি পরায়ন, যাকে দেখলে মানবিক গুণগুলো বৃদ্ধি পেত। আর প্রয়াত ছোটখালা আলহাজ্ব শাহ্ হাফিজা ইসলাম যাকে দেখলে শিক্ষা ও ধর্মের অনুরাগ সৃষ্টি হতো।

তাঁদের সকলের করকমলে।