আমাদের হায়াত ক্রমাগত গলিত মোমের মতো ঝরে?
তারপর বাতিহীন রাত ক্রমে  উঁকি দেয় ক্ষুধার্তদের ঘরে।
তবু মানুষেরা বালির পাড়ে বিলাসী  বাড়ি বানাতে ব্যস্ত,
একটুও ভাবে না মৃত্যুর টেলিগ্রাফ এসে যায়  রিক্ত হস্ত।


এখন অর্ধ পৃথিবীতে খরা, পালাচ্ছে বাড়ি ছেড়ে,
মানুষের স্বপ্ন স্ফুলিঙ্গ হয়ে জলে ছাই হয়ে উড়ে।
পৃথিবীর চারিদিকে বিমর্ষ বিশৃংখল, অসুস্থ পরিবেশ,
আবারো ফিরবে মোমের প্রদীপ, হারাবে আয়েস


মানুষের নীতিরীতি কোণঠাসা শোকাবহ অনিয়মে,
যুদ্ধের দাবানল ছড়াবে মুষ্টিমেয় স্বার্থের প্রেমে।
সুদের অভিশপ্ত আচরণ আগুনের মত পোড়ায়
চারিদিকে মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতির অশনিসংকেত ছড়ায়।


পারমাণবিক যুদ্ধের ক্রমাগত চাপে আয়ুহীন মানুষেরা,
আজ আশাহীন কল্পনার গল্প  বুনিতেছে  কাহারা।
মৃতরা  মরে গিয়ে বেঁচে গেছে যেখানে প্রতিযোগিতা নেই
এখন জীবিত থেকেও অর্ধমৃত অযথা তর্ক জুড়ে দেই।


স্বার্থের পূজারীরা  যুক্তির  বিরুদ্ধে তুলে   মিথ্যা তথ্য      
আহা মানুষের সুখ শান্তি প্রগতি যদিও হয়েছে গত।
পৃথিবী এখন মুখোমুখি  আর একটা প্রলয়ংকরী যুদ্ধ,
একটুও শিক্ষা নেয়নি অধঃপতিত সমাজ কৃত্রিমতায় মুগ্ধ।


অভিশপ্ত পারমাণবিক যুদ্ধে যদি কেঁপে উঠে দুনিয়া,
হায় দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ  হায় মৃত্যুপুরী নাগাসাকি হিরোশিমা
এখন পৃথিবীর সর্বত্র বিরাজমান অহংকারী নেতৃত্ব
হয়তো খুব শীঘ্রই হিম অন্ধকারে ঢেকে যাবে মানব অস্তিত্ব।


বাঁচার প্রচেষ্টার চেয়ে,  ধ্বংসের আবিষ্কারে এগিয়ে
যাযাবর ইতিহাসও ঢের ভাল ছিল বিনয়ে
এখন মানুষের ইগো, ভোগবাদী মারপ্যাঁচের অবিবেচনা।
সভ্যতা ধ্বংসের জন্য দায়ী তবু ফিরিবে কি চেতনা?


এখনো সময় আছে, মানুষ বাদে সকলেই মহা চিন্তিত,
সম্পদের পূজারীরা কর্তৃত্ব খর্ব হওয়ার ভাবনায় ব্যথিত।
এইসব পরাশক্তির কাছে মানুষেরা ইঁদুরের সবের মতো,
তবু বিপ্লবীরা এই ধূসর পথে কখনো করবে না মাথা নত


মনে হয় স্রষ্টা তাঁর দেওয়া পৃথিবী আবার ফিরিয়ে নেবে,
অথবা অযোগ্যদের  হটিয়ে যোগ্যদের স্থান করে দেবে।
হয়তো ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে প্রাণের স্পন্দন জাগবে।
পরাশক্তির পতনের পর নতুন এক শক্তি পৃথিবীতে  আসবে।