(একজন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানে)


বয়সের ভারে ন্যুজ, বেশ ক্লান্ত অনেকটা স্মৃতিভ্রষ্ট,
মাঝে মাঝে মনে পড়ে, ফেলে আসা স্মৃতির মুক্তিযুদ্ধ।
হে! বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আব্দুল হাই,
হলদে পাতার মতো রং মেখে বসে আছো,শেষ বেলা তাই।


জানি তোমার হৃদয় খুঁজিতেছে জাবেদের সোনা মুখ,
দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তার কেড়ে নিল জীবনের সুখ।
জন্মভূমির ঘ্রাণ নিতে এসেছ পড়ন্ত বেলায় চিরচেনা ব্যাসপুর,
সুন্দর দিনগুলি হয়তো মনে পড়ছে আজ বাজে বিষাদের সুর


তোমার থেকে উপকার পায়নি,এমন স্বজন খুব কমই আছে!
ধূপের ধোঁয়ার মতো উড়ে উড়ে যেতে মানুষের কাছে,
তবুও মানুষের মন পেলেনা, সমালোচনা শুনেছ অনেক,
চারিদিকে অকৃতজ্ঞতা ভাঙ্গা কাচের মত, অন্ধকারে ভয়ানক।


মা, মাটি আর মানুষের জন্য করাচি থেকে ফিরে এলে দেশে,
সুনাম খ্যাত ব্যাংকার হলে দাঁড়িয়েছো প্রান্তিক কৃষকের পাশে
কঠিন দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল ঢের,
বঙ্গবন্ধুর প্রতি মমতা ছিল,গল্প বলতে কিশোর রাজা রাসেলের।


ভালোবাসার পুরনো মানুষগুলো চলে গেছে হিম কবরে,
ছোট ভাই শাহ-খায়ের আছে, অনন্ত ঘুমে পুকুরের পূব পাড়ে,
শাহ-পাঞ্জু, শাহ-চাঁদ সব পূর্বপুরুষেরা আজ মাটি হয়েগেছে,
মা বাবা ভাই বোন খুঁজিতেছো,তারা আজ স্মৃতি হয়ে আছে।


শক্তি নেই আজ সেই মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলির মত
বড় সাহসী মানুষ ছিলে আজ সব হয়েছে গত।
ভাবিতেছ অন্তহীন মহাকালের দিকে যাত্রা শুরু কবে?
হয়তো ভাবিতেছ বাবা-মার কবরের পাশে তোমার কবর হবে।