পুরো দেশটাই যেন সভাপতি বিহীন মস্ত বড় ট্রেড ইউনিয়ন,
এখন বুর্জোয়াদের পায়ে দলিত, শ্রমিকদের মান সম্মান।
রোদের ঘামের গন্ধে বেড়ে ওঠা কোটি কোটি মেহেনতি শ্রমিক
আহা জানে না তারা, জীবনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কোন দিক?


নিজস্ব ভিটা মাটি নেই, অধিকাংশের স্থান বস্তি বাড়িতে,
অনেকের যাযাবরের মতো দিন কাটে, স্টেশনে ঘুমায় রাতে।
আহা গাছের পাতার মতো উড়ে উড়ে ঝরে শ্রমিকের আশা।
দিনের পর দিন অপেক্ষার পরও মেলেনি পথের দিশা।


এখন নিম্ন মধ্যবিত্তরা ক্রমেই শোষিত হতে হতে নিঃস্ব হচ্ছে,
এখন ক্ষুধাআর ভাতের অভাবে চেহারার উজ্জলতা হারাচ্ছে।
এখন কপালে হতাশা আর দুশ্চিন্তার বলিরেখা বেশ স্পষ্ট,
অবসর বিহীন বঞ্চনা, ঘুমের মধ্যে ও বোবায় ধরা কষ্ট।


ভিসুভিয়াসের লাভার মত সর্বহারাদের ক্রোধ ফুঁসে উঠছে,
স্বার্থবাদীরা বালুঝড় উঠার আগেই নিরাপদে অর্থ লুকাচ্ছে।
এইসব সুবিধাবাদী ভূস্বামীরা, ভোগবাদী জীবনে বেশ অভ্যস্ত,
সময়ের ব্যবধানে পৃথিবীতে নতুন বিপ্লব আসছে, ভয়ে তটস্থ।


যারা , জন্মগতভাবে অসচ্ছল ভাগ্যের নিদারুণ পরিহাস,
দিনশেষে তেলের শিশির বিষাদের শব্দ ভাসে চারিপাশ ।
গরিবের ঘাম আর ক্ষুধা নিয়ে পুঁজিবাদের আদিম উল্লাস,
NGO থেকে চড়া সুদে টাকা নিতে,আহা গরিবের দীর্ঘশ্বাস।


মুখে ফতোয়া তাদের, সুদ থেকে বাঁচার বাস্তব পদক্ষেপ নেই
অনেকেই আত্মহত্যা করেছে তবুও মহাজনেরা দেয়নি রেহাই।
শুনেছি কবিরা সমাজ ভাঙার বিপ্লবী কবিতা উইলকরে যাবে
জানি মুক্তি আসিবে, ছিরাতীম মুস্তাকিমের পথ খুঁজে পাবে।