মাতৃস্তনের রেলস্টেশন পার হতেই— আমরা ‘গায়রে মাহরাম’ হয়ে ওঠি। প্রত্যেকটি স্টেশনে, এক একটি স্তন দাঁড়িয়ে থাকে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে। প্রত্যেকের হাতে থাকে লাল ফ্ল্যাগ। নাড়ায় এবং নাড়িয়ে যায়। কিন্তু একজনের সবুজ সংকেত পেতে পেতে, আমরা বালেগ হয়ে ওঠি। এমনই করে আমরা আঁচড় কেটে যাই প্রত্যেকটি স্তনে। কিন্তু প্রথম আঁচড়ে আমরা ঋদ্ধ। প্রথম স্টেশন— আলিফ-লাম-মীম। পরের স্টেশনগুলোতে আমরা বারবার পকেট হাতড়ে দেখি, মোহর আছে তো! স্নায়ু আমাদের কন্ট্রোলে থাকে না। ভাববার একরত্তি সময় নেই। পিরামিড থেকে গড়াতে গড়াতে আমরা পতিত হই ব্ল্যাকহোলে। অতঃপর, আমাদের যাত্রা হয় একজন পবিত্র আত্মার দিকে। পবিত্র হলেও, সেটা আত্মাখেকো স্টেশন। সে স্টেশনে নিঃশ্বাস রেখে, আবার আরেকটা স্টেশনে আমরা স্তনকাব্যের সমাপ্তি খুঁজি। একাকী যাত্রা! এখানে স্তনের চেয়ে টিকিটের চাহিদা ঢের বেশি। চাহিদাবিধি দরজার ফাঁক গলে, স্তনেরা এখানে ঢুকতে পারে না। তাই— ঐ স্টেশনে স্তনের কোনো পরিচিতি নেই। ঋদ্ধতা নেই।


সময় গড়ালে একদিন তুফান-দাপটও থেমে যায়। ব্ল্যাকহোল থেকে স্তনে ফিরে আসবো আমরা, ষাটোর্ধ নাবালক হয়ে। শূন্য থেকে নব্বই, নব্বই থেকে একশ আশি, অতঃপর তিনশ ষাট ডিগ্রিতে ফিরবো স্তনে।