বাঁ-পাঁজরের হাঁড়খানাতে ভীষণ ব্যথা!
মিথ্যে সুখের অভিনয়ের আদিখ্যেতা।
ফাল্গুনে সে ভীষণ পোড়ায় ভীষণ জ্বালায়,
অথই সাগর মরছি ডুবে হাতটি বাড়ায়।
বসন্তে সে বাসন্তী সাজ ভালোই সাজে,
কথায় পাকা মনটা কাঁচা অলস কাজে।
বৈশাখে সে উথাল ঝড়ে হৃদয় নাড়ে,
চলছে জীবন নৌকোবিহীন অস্তপাড়ে।
সাঁতার জানি একাই আমি নামছি হেসে,
দেহের অংশ দেহেই আছে চলছি ভেসে।
অথই সাগর খড়কুটো নেই আঁকড়ে ধরার,
ভ্রুণের দায়ে সুযোগতো নেই সটকে পড়ার।
শীতের সময় হাঁড় কাঁপিয়ে ঘামে নাওয়ায়,
তাল হারা সুর, মুগ্ধ শ্রোতা আমার গাওয়ায়।
স্বপ্নগুলো দিক হারিয়ে ছুটতে থাকে,
মায়ার বাঁধন ফুলের মতো ফুটতে থাকে।
সুখের সময় হাসতে থাকে অট্টহাসি,
কান্না এলে মেকি ভাবে সুখপিয়াসী।
হুলের মতো ফুটতে থাকে গোলাপ তলে,
সুবাস আছে, আঘাত ছাড়া জীবন চলে!
তারপরও সেই বাঁ-পাঁজরের হাঁড়খানাতেই—
সন্যাসী মন সুখ খুঁজে পাই এক নিমিষেই।