অদ্ভুত প্রানী
লেখকঃমোঃমেহেদী হাসান


প্রথাম পর্বঃ
একদিন  আমি আমার এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে জাই।তাঁর পড় সবার পরিচয় হই এবং তাদের সাথে ঘোড়া ঘুরি করি,খেলা ধূলা করি। হঠাৎ আমার বন্ধু আদিত্য বললেন, বন্ধু আমাদের এলাকায় কিছু দিন যাবত। অনেক মানুষ রাতে চালার পথে অদ্ভুত একটি প্রানী দেখতে পায়। প্রানীটি বেশ লম্বা, চোখ দুটি লাল রঙের, দুটি বড় বড় দাঁত এবং গায়ের রং কালো এমনকি পিছনে একটি লেজ আছে। দেখতে নাকি একে বারে মানুষের মতো। আমার বন্ধু আদিত্য বললেন, তুমি আমাদের এলাকায় নতুন এসেছ। রাতের বেলা ঘর থেকে বেড় হবে না। আমি ছোট বেলা থেকে কোন ভুত ও পেতনী বিস্বাস করিনা, তাই ওর কথার কোনো মূল দিলাম না।আদিত্য দের বাসা থেকে প্রয় তিন কিলোমিটার দূরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সে খান আজ রাতে নাটক হবে।আমি শুনে খুবই খুশি হলাম। আমি আদিত্য কে বললাম,  বন্ধু চল আজ রাতে নাটক দেখে আসি।আদিত্য বললেন,  রাতে ফেরার পথে সেই অদ্ভুত প্রানী টি এসে যদি আমাদের মেরে ফেলে। আমি আদিত্য কে বললাম, এই পৃথিবীতে কোন ভূত ও পেতনী আছে তা আমি বিশ্বাস করি না। আমি আজ রাতে নাটক দেখতে জাব।কী আর করার আমি এই এলাকায় নতুন এসেছি বিদায় আদিত্য আমার সাথে জেতে বাধ্য হলো। রাতে আদিত্য দের জীপ গাড়ি নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাটক দেখতে গেলাম। নাটকটি খুবই চমৎকার ছিল। একটি প্রেম প্রতির উপর ভিত্তি করে নাটকটি চলছিল। নাটক শেষ হতে রাত বারোটা বেজে গেল। ওদিকে আদিত্যর মা ও বাবা আমাদের দেখতে না পেয়ে চিন্তা পড়ে গেল। এবার নাটক দেখা শেষ করে, বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম মাঝ পথে আসার পড় কেমন জানি বাতাস আসতে শুরু করে। চারদিকে গাছ পালা বুঝায় মাটিতে পড়ে জাবে।আদিত্য ভয় পেয়ে বললেন,  এটা বুঝি অদ্ভুত প্রানীটির কান্ড। এ-ই কথা বলা মাত্র আমি জীপ গাড়ির আলোতে দেখতে পেলাম, সামনে অদ্ভুত প্রানীটি। আদিত্য ঠিক কথা বলেছেন, অদ্ভুত প্রানীটির দুটি চোখ লাল,দুটি দাঁত বড় বড়, গায়ের রং কালো এমনকি পিছনে একটি লেজ আছে। আমি বললাম, আদিত্য গাড়ি চালিয়ে বাসায় চলো।আদিত্য এ-র হার্ড দূর্বল হয়ে গেছে,তাই ও ভয়ে খুব কান্না কাটি করতে আছে। তাই আমি জীপ গাড়ি চালানো শুরু করি। সেই অদ্ভুত প্রানী টিকে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দিয়ে চলে জাই এবং অদ্ভুত প্রানী টি চিৎকার করতে শুরু করে। আমি মনে মনে ভাবলাম অদ্ভুত প্রানীটি মা-রা গেছেন কিন্তুু না আমি বাসার সামনে গিয়ে জীপ গাড়ি টি রাখতেই দেখতে পেলাম, সেই অদ্ভুত প্রানীটি আমাদের পিছনে পিছনে আসতে আছে। আমি এবং আদিত্য দৌড়ে বাসায় চলে জাই। দরজায় জানালায় বন্ধ করলুম কিন্তুু অদ্ভুত প্রানীটি জানালার পাশে এসে উকি মারতে লাগলো। আদিত্যর মা চিৎকার করে বললেন, বাঁ চাও বাঁ চাও, তাই শুনে এলাকায় বাসি চলে আসে বেশি মানুষের আনা গোনা পেয়ে প্রানীটি গায়েব হয়ে গেল।
দ্বিতীয় পর্বঃ
হঠাৎ শুনতে পেলাম সেই অদ্ভুত প্রানীটি গ্রামের একজন গেয়ানি গুনি লোক মেরে ফেলছে, তাই শুনে এলাকায় বাসি ভয়ে কাঁপতে থেকে। সবাই চিন্তায় পড়ে গেল এ-ই অদ্ভুত প্রানী টি থেকে বাঁচার উপায় কী? এলাকার অনেক সাহসী যুবক তীর ধনুক নিয়ে বেড়ে পরলো অদ্ভুত প্রানীটি মারার জন্য। প্রায় দলটিতে বিশ জন মানুষ হলো। দলটির মধ্যে আমি ও ছিলাম এবং দলটির মধ্যে অতি চালাক ছিল আবির নামে একটি ছেলে। আবির অনেক বুদ্ধি রটাতে থেকে। হঠাৎ আবির বললেন,  দলে অনেক মানুষ তাই দুটি ভাক হয়ে জাই। দুই দিক থেকে যদি আমরা খুজতে থাকি তাহলে, খুব সহজে অদ্ভুত প্রানীটি খুঁজে পাওয়া যাবে। খুজতে আছি, খুজতে আছি হঠাৎ দূরে একটি মানুষের কান্না র আওয়াজ শুনতে পেলাম।আমরা সবাই দৌড়ে জাই গিয়ে দেখি আমাদের দলের একজন লোক অদ্ভুত প্রানীটি মেরে ফেলছে এবং ও-ই রাতে আমাদের দলের পাঁচ জন মানুষ মেরে ফেলে অদ্ভুত প্রানীটি।তাঁর পড় সকল বেলা আমি এবং অামাদের দলের অন্য অন্য সদস্য গন ওদের অকাল মৃত্যুতে ভেঙে পড়ি।
তিন পর্বঃ
অদ্ভুত প্রানীটি দিন দিন মানুষকে ভয় দেখায় এমনকি মানুষকে একা পেলে পাচার মারে।হঠাৎ আবির সবাই কে ডেকে বললেন, এভাবে বসে থাকলে চলবে না অবশ্যই এই অদ্ভুত প্রানীটি মেরে ফেলতে হবে। চলো আজ রাতে আমরা সবাই অদ্ভুত প্রানীটিকে আক্রমণ করব।এই কথা শুনে অনেকে রাজি হলো না।কারণ, অদ্ভুত প্রানীটি অনেক মানুষ মেরে ফেলছে ওদের যদি মেরে ফেলে। আমি সহ অল্প কিছু মানুষ রাজি হলো সব মিলিয়ে সাত আট জন হবে। আমরা সবাই অদ্ভুত প্রানীটি মেরে ফেলার জন্য তীর ধনুক নিয়ে চলে জাই। হঠাৎ দেখতে পেলাম অন্ধকার জায়গায় তাল গাছের নিকট অদ্ভুত প্রানীটি দাঁড়িয়ে আছে। তাই দেখে আমি এবং আবির তির নিক্ষেপ করলুম। একটি তির গিয়ে অদ্ভুত প্রানীটির লেজের উপর পড়লো। অদ্ভুত প্রানীটি জোরে জোরে চিৎকার করতে লাগলেন, চিৎকারের শব্দ শুনে আমরা সবাই দৌড়ে পালিয়ে আসি।
চতুর্থ পর্বঃ
প্রায় চার পাঁচ মাস হয়ে গেছে অদ্ভুত প্রানীটির কোন খোঁজ খবর নাই। তাই এলাকায় বাসি সবাই মহা আন্ধ পেলেন। যে ওই তীরের আগাতে অদ্ভুত প্রানীটি চলে গেছে। এলাকায় বাসি স্বাধীন মনে দিন নেই রাত নেই একা একা চলা ফেরা করতে শুরু করে। হঠাৎ অদ্ভুত প্রানীটি তাঁর দল বল নিয়ে চলে আসে এলাকায় ।এলাকায়  এসে ঘরের উপর ইট পাথর ছুরিতে থেকে, এমনকি গরু, ছাগল,  মহিষ এবং ভিন্ন ধরনের প্রানী মেরে ফেলে। এলাকায় বাসি অতি স্ট হয়ে পড়েন। এলাকায় বাসি বলতে, শুরু কলেন এবার বুঝি আমাদের বাঁচার উপায় নাই। এদিকে এলাকার একজন বৃদ্ধ মহিলা রাতে চুলায় রান্না বান্না করতে ছিল। হঠাৎ তাঁর সমনে একটি ছোট অদ্ভুত প্রানী চলে আসে। তিনি চিৎকার করে উঠলো, কিন্তুু কেউ ঘর থেকে বেড় হলো না। বৃদ্ধ মহিলা টি তাঁর চুলায় জালানো একটি লাকড়ি দিয়ে অদ্ভুত প্রানীর গায় ধরিয়ে দিলেন। তাঁর পড় ও-ই অদ্ভুত প্রানীটির গায়ে আগুন ধরে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে অদ্ভুত প্রানীটি জলে পুরে ছাই হয়ে যায়। এই কথা এলাকায় ছরিয়ে পড়ল। পরের দিন আবির এসে আমাদের সকলকে বললেন,  চলো আজ রাতে অদ্ভুত প্রানীদের মেরে ফেলব এবং অদ্ভুত প্রানী মারার জন্য এলাকায় বাসি সবাই নামব। কারণ, এক একদিন অল্প অল্প করে আমাদের ওরা মেরে ফেলবে তাঁর চেয়ে আমরা সবাই এক সঙ্গে অদ্ভুত প্রানী মারার জন্য জাব।এলাকায় বাসি সবাই রাজি হলো। তাঁর পড় আবির একটি বুদ্ধি পাতল যে ঘখন অদ্ভুত প্রানীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ঘখন  মা'রা যায়
পঞ্চম পর্বঃ
তাহলে আমরা সবাই মিলে একটি কাজ করতে পাড়ি।এলাকায় বাসি বললেন, কী কাজ আবির বললেন,  আজ আমরা সবাই মিলে কাঁচা বাসের টুকরো  সংরক্ষন করবো। তাঁর মাথা টুকরো টুকরো করে কাপড় বাধবো, এমনকি কেরাসিন দিয়ে জালিয়ে নিব।তাঁর পড় অদ্ভুত প্রানী মারার জন্য বেড়ে পরব।এলাকায় বাসি কাঁচা বাসের টুকরো সংরক্ষণ করলেন, টুকরো টুকরো কাপড় বাসের আগায় বেধে কেরাসিন দিয়ে আগুন জালিয়ে নিল।
তাঁর পড় এলাকায় বাসি অদ্ভুত প্রানী দের চার পাশ ঘিরে ফেলে। হঠাৎ আবির বললেন, অদ্ভুত প্রানী সামনে আসলে সঙ্গে সঙ্গে  গায় আগুন ধরিয়ে দিব দেখবে এক এক করে সব শেষ হয়ে জাবে।অদ্ভুত প্রানী গুলো প্রান বাঁচতে ছুটা ছুটি করতে লাগলো এবং মানুষের গেয়ে ইট ও পাথর মারতে লাগলো এতে অনেক মানুষ মা-রা গেলেন। অনেক মানুষ অদ্ভুত প্রানীর তান্ডব দেখে পালিয়ে গেল। তাঁর পড় আমরা কিছু সংখ্যাক মানুষ ছিলাম। অদ্ভুত প্রানীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিতে লাগলাম। তাঁর পড় এক এক করে অদ্ভুত প্রানী মারা যেতে শুরু করে এবং এক মুহূর্তে সকল অদ্ভুত প্রানী মারা গেলেন। তাঁর পড় থেকে এলাকায় বাসি শুখে শান্তিতে বসবাস করতে শুরু করেন। এলাকায় বাসি এই অদ্ভুত প্রানীদের মেরে ফেলার উদ্দেশক তাদের ফুলের মালা গলায় দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় এবং জারা মারা গেছেন তাদের জন্য দেওয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।