দাদির শুখি পরিবার
মোঃমেহেদী হাসান
মোড় দাদু ভাই এর ছিল তিন পুত্র এক মেয় ছিলো সবে মিলেমিশে শুখি পরিবার। পরিবারের বড় ছিল মেয়েটি বড় হয়েছে তাই ঘটক মসাই এসে ভালো ভালো পাত্র ছবি দেখালেন। সেই ছবি মধ্যে থেকে মোড় দাদু আর দাদি একটি ছেলে পছন্দ করে মেকে দিলো বিয়ে। পরিবারের শুধু রয়েছে  তিন পুত্র আর দাদু দাদি। দাদু আর দাদি বৃদ্ধা হয়েগেছে তাই শখ করে বড় পুত্র কে ধুম ধামে দিলো বিয়ে দিলো।
নবোবধূ কে পেয়ে সবাই আনন্দে আত্মহারা হঠাৎ, একদিক আমার দাদু জায় মড়ে পরিবারের শোকর ছায়া। দাদি বৃদ্ধ মহিলা তাই সংসারের চাবিকাঠি দিল,
বড় পুত্র নবোবধূ  এবং বড় সন্তান কে বুজাইয়া।
দাদির দুটি পুত্র ছিল অবিবাহিত একটি বিবাহ কড়ার উপযুক্ত আর একটি অনেক ছোট্র  সবে মাত্র চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।একদিকে পরিবারের পড় ছেলের হয়নি নবোবধূ পছন্দ তাই রাগ করে তার স্ত্রী কে তালাক দিয়ে চলে গেলো দূরে। দাদি কী আর করবে তার বেটা গেছে মড়ে এখন তার পক্ষে সংসার গুছিয়ে রাখাকি সম্বাব।বাধ্য হয়ে দিলো মেঝো  ছেলে কে বিবাহ করিয়ে, সংসারের সব দায়িত্ব দিলো মেঝো নবোবধূ কে বুজিয়ে। একদিকে আর বড় ছেলে করেছে দুই নম্বার বিয়ে করে নবোবধূ নিয়ে বড় ছেলে বাড়িতে হাজির।একদিকে সংসারের সব দায়িত্ব মোঝো বউ এর হাতে,  তাই নিয়ে বড় নবোবধূ করে ডাকাডাকি খেচামেচি। দাদুর সব জমি জমা দুই ভাগ করে, দুটি ঘর তুলে আলাদা হলো দুই পুত্র দাদি তার ছোট্র পুত্র এখন একা। মেঝো ছেলে কিছু চাউল ঢাইল দেয়, বড় পুত্র কিছু দেয় না দাদির ছোট্র ছেলে সবে মাত্র অষ্টম শ্রিনিতে পড়ে কামাই করতে পাড়লেও তার লেখা পড়া কড়ার ইচ্ছা। বড় ভাই লেখা পড়ার খরচ মোটেও দেয়না, মেঝো ভাই দুই এক পয়শা দেয় তা দিয়ে লেখা পড়া কড়া সম্ভব না।তাই দাদির ছোট্র ছেলের বাড়ি থেকে দুর অজানা পথে দিলো পাড়ি জমাইয়া লেখা পড়া শিখে তবে বাড়িতে ফিরবে বেটা। একদিকে দাদি একা বৃদ্ধ মহিলা বড় ছেলে বড় নবোবধূ নেয়না খোঁজখবর, মেঝো ছেলে মেঝো  নবোবধূ  মোটামুটি দেখা শুনা করে। একদিকে বড় ছেলের দুই নাম্বার বৌ গেছে মরিয়া দুইটি পুত্র, একটি মায়ের বুকের দুধ খাবার  ছোট্র মেয়ে শিশু রাখিয়া। দাদির বড় ছেলে রাগ শকরিয়া গেছে বাড়ি ছাড়িয়া দাদির আর কী কড়ার, বৃদ্ধ বয়সে বড় ছেলের  ঘরের   তিনটি নাতি দেখা শোনা কড়ার দায়িত্ব পড়লো ঘারে।কিছু দিন পড় দাদির ছোট্র ছেলে মেটিক পাশ করে, হাসি মুখে আসে বাড়ি মাকে বলবেন শু খবর। এসে শুনে এই সব কান্ড কাহিনী, কিছু দিন পড় ধুধের শিশু মায়ের বুকের দুধ না পেয়ে গেছে মড়ে।দাদির ছোট্র ছেলে চলে গেল লেখা পড়া কড়ার এস্তানে আইয়ে পাশ করে কোনোরকম মৌলভী পোস্টে দূরে পেলো চাকুরী।  চাকুরী টাকায় দিয়ে মা ও বড় ভাই এর দুটি পুত্র কে খাবার দাবার এর টাকা পয়শা দেয় নিজে মানুষের বাড়ি লজিং থাকেন। হঠাৎ দাদির বড় পুত্র আসেন তিন নাম্বার নবোবধূ নিয়ে দাদি বৃদ্ধ মানুষ ছেলের প্রতি তো রাগ করতে পারে না।ভাগ্যে কী খারাপ দাদির বড় ছেলের তিন নাম্বার বৌ বড়,জল্লাদ বিশ্ব বিটিশ দাদির সাথে প্রতিদিন ঝগড়া করে।এমনকি দাদির বড় ছেলের আগের ঘরের ছেলে দেরও মাড়ে তাই দাদির মেঝো ছেলে ছোট্র ছেলে বড় ভাই বোউ এর উপর খেপে। দাদি মড়ে জাবে ভাব এই মুতে ছোট্র ছেলে কে দেয়,  বিবাহ করিয়ে দাদির ইচ্ছে ছোট্র নবোবধূ সাথে থাকবে। ছোট্র ছেলে কে ঘর বাড়ি তৈরি করে ছোট্র নবোবধূ কে নিয়ে থাকেন।বাড়িতে ছোট্র ছেলে চাকুরী করে দূরে তাই থাকেনা  বাড়ি। দাদি বলিলেন, হে আমার প্রিয় ছোট্র বাছাধন তুই,দুর দেশে চাকুরী ছাইড়া গায় গ্রামে চাকুরী কড়। ছোট্র নবোবধূ কোল জুইরা আইলো ফুট ফুটে পুত্র সন্তান, দাদি তার ছোট
ছেলেকে দিলো চিঠি বাছাধন তুই তাড়া তাড়ি বাড়ি আয় তোর পুত্র সন্তান হইছে।দাদি ছোট্র ছেলের ঘরের নাতিকে পাইয়া গালে গালে চুমায় আর বলেন দাদু ভাই তুই অনেক বড় হবি, আমার আর তোর দাদু ভাই এর নাম চিরোদিন ইতিহাসের পাতায় তুলে রাখবি।
এই বলিয়া দাদির তার ছোট্র ছেলের ঘরের নাতির মাথায় দেয় মালাই ফুটো করে পানি এবং পানি দেওয়া শেষে আল্লাহর কাছে বলিলেন, তুমি আমার ছোট্র ছেলের ঘরের নাতিকে বড় এক মহাত ব্যাক্তি বানিয়ো।
এই দিকে দাদির ছোট্র ছেলে দেশে চাকুরী নিবার জন্য ব্যাস্ত, দেশ গায় চাকুরী নিয়ে মা বৌ এবং ছেলের সাথে থাকবে।  একদিকে হঠাৎ  দাদির পেট গেছে ফুলে শুনি, লিভার নষ্ট হইয়া গেছে তাই ডাক্তার দেখাইতে হবে।ডাক্তার দেখানোর পড় ডাক্তার বললেন, এনাকে
বাড়ি নিয়ে জান সে বেশি দিন বাঁচবেনা।দাদির ছোট্র ছেলের নবোবধূ  তার ছোট্র ভাই কে বললেন, তুই
দ্রুত তোর দুলাভাই এর নিকট চইলা যা গিয়ে বলবি আপনার মা অসুস্থ। অনেক দুরের পথ দাদির ছোট্র ছেলের নিকট  অসুস্থতার কথা পৌছাইতে এদিকে দাদি মাড়া জায়। দাদির ছোট্র ছেলে বাড়িতে আইসা দেখে, তার মাকে কবরে রাখা হইয়া গেছে।


আসহায় মেয়েটি
লেখকঃমোঃমেহেদী হাসান
একদিন হঠাৎ আমি রেল-স্টেশনে জাই গিয়ে দেখি। একজন সুন্দরী মেয়ে বসে আছে রেল-স্টেশনে। আমি আরও লক্ষ করলুম সে বসে বসে কান্না করতে আছে। আমি তাহার নিকট চলে জাই এবং গিয়ে বললাম, আপনি কে? কী আপনার পরিচয়?  তিনি বললেন,  আমি রিতা। আমি একজন বিদেশি মেয়ে। বাংলাদেশের একটি ছেলের সাথে প্রথমে আমার পরিচয় হয়।ছেলেটার না আবির। আবির ছেলেটি আমার দেশে একটি কোম্পানিতে  চাকুরি করত। আমি ও একুই কোম্পানিতে চাকুরি করতাম।আবির এর সাথে আমার ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় আবির আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়, কিন্তুু আমি রাজি হই নাই। পরোবর্ততে আমি ওর সাথে প্রেম ভালো বাসার করার জন্য রাজি হই। আবির এ-র সাথে আমি বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট খেতে জেতাম, এমনকি রাতে নাইট ক্লাবে গিয়ে ভিন্ন ধরনের নাচ এবং গান করতাম। পরবর্ততে আমি আবির কে বললাম, তুমি আমাকে কবে বিবাহ করবে। তাঁর পড় আবির বললেন,  এ-ই তো অল্প কিছু দিন পড় তোমাকে বিবাহ করব।তাঁর পড় আমি তোমাকে আমার বাংলাদেশে নিয়ে জাব।এভাবে বছর দুই চলে যায়, কিন্তুু আমাকে বিবাহ করার  কোন খবর নাই। একদিন হঠাৎ আবির আমার বাসায় বন্ধু বান্ধব নিয়ে আসে।সেই দিন আমার বাসায় কেউ ছিল না। তাঁর পড় আবির ওর বন্ধু বান্ধব দের বললেন, এ-ই ঘরে মা কিছু আছে তাই নিয়ে চল। তাঁর পড় আবির এ-র বন্ধু বান্ধব আমার ঘরের ভিতর থেকে টাকা পয়সা, শোনা দানা নিয়ে জায় এবং আবির আমার ইজ্জত নষ্ট করে। এখন আমি গর্ব  ভর্তি আমার আমার পেটে সাত মাসের সন্তান। আমি শুধু জানি আবির বাংলাদেশি কিন্তুু এ-র বেশি আমি আবির এ-র সম্পর্কে জানি না। তাই আমি আমার দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসি।আমি রিতা মেয়েটির কথা মনোযোগ দিয়ে শুন লাম এবং আমি বললাম,  কী উপকার করতে পাড়ি।রিতা মেয়েটি আমাকে বললেন, আবিরকে খুঁজে দিবেন। আমি বললাম, এ-ই বাংলাদেশে আবির নামে অনেক ছেলে আছে। আমি কেমন করে সেই ছেলেটিকে খুঁজে দিব।মেয়েটিকে বললেন, আমার কাছে একটি ছবি আছে। আমি মেয়েটিকে বললাম,  তাহলে ছবিটি দেখে চিনতে পারি কী না।আমি ছবিটি হাতে নিয়ে বললাম,  আমি এ-ই লোকটিকে ঢাকায় এক রাস্তার পাশে দেখেছি।  মেয়েটি বললেন,  আমাকে নিয়ে চলুন সেই জাগায়। আমি মেয়েটিকে সেই স্থানে নিয়ে আসি। এস্থানিয় অনেক দোকান দার এবং অনেক লোককে জিজ্ঞেস করলুম,  এ-ই লোক দিকে চিনেন, সবাই বললেন না ভাই। এখন আমি কী করি, হঠাৎ মাথায় একটি বুদ্ধি এলো, আমি মেয়েটিকে বললাম,  চলুন ঢাকায় কোন একটা থানায়  গিয়ে জানাই।সব কিছু থানার ওসিকে খুলে বললাম। তাঁর পড় আমি ওসি ছাড়কে ছেলেটার ছবি দেখালাম। তিনি বললেন, আমি খোঁজ খবর  নিয়ে আপনাদের জানাব।আমি মেয়েটিকে ঢাকায় থাকার হোটেলে রেখে দিলাম। একদিন হঠাৎ  থানা থেকে ফোন আসলেন যে লোকটির সন্ধান পাওয়া গেছে। আমি হোটেল গিয়ে মেয়েটিকে জানাই যে আবির  ছেলেটির সন্ধান পাওয়া গেছে। অসি সাবে খুবি ভালো মানুষ বলে, আমাদের নিকট থাকে টাকা পয়সা ছাড়া তাঁর দেওয়া ওয়াদা পালন করেছেন।আমি রিতি এবং অসি সাহেব আবির ছেলেটির নিকট জাই।জাওয়ার পড় আবির ছেলেটির মা ও বাবার নিকট রিতা সব কিছু খুলে বলেন,কিন্তুু সবাই তা অসি কার করে। তাঁর পড় অসি সাহেব বললেন,  মেয়েটির গর্ভে যে সন্তান আছে। সেই শিশুটি জন্ম গ্রহন করার পড় ডি এন নে টেস্ট করালেই ব্যাপারটি খোলাসা হবে। শিশুটি জন্ম গ্রহন করার পড়। ওসি সাহেব ডাক্তার ডি এননে টেস্ট করান। তাঁর পড় রেজাল্ট আসল সেই শিশুটি আবির এ-র সন্তান। তাঁর পড়েও  আবির এবং আবির এ-র মা ও বাবা মেনে নিচ্ছে না। তাঁর পড় ওসি সাহেব বললেন,  তুমি এ-ই রিতা মেয়েটিকে ধর্ষন করেছ তাঁর জন্য জেলে জেতে হবে তাঁর পড় আবির বললেন, হ্যাঁ আমি জখন বিদেশে চাকুরি করতাম তাখন রিতা মেয়েটির সাথে আমার সম্পর্ক ছিল।  সইচ্ছায় রিতাকে মেনে নিল। ওসি সাহেব নিজে দায়িত্ব নিয়ে আবির এ-র সাথে মহা ধুম ধামে রিতাকে বিবাহ দেন।তাঁর পড় থেকে রিতা আবির এ-র সাথে শুঁকে শান্তিতে বসবাস করতে থাকে এবং রিতা মেয়েটি আমাকে ডেকে বললেন, ভাই আপনার উপকারের কথা আমি চিরো দিন শরন করব।


আপনি সাড়া জীবন খেয়ে যেতে পারবেন


লেখকঃমোঃমেহদী হাসান


একদা একটি গ্রামে একজন মহা  ঙ্গেয়ানী মানুষ ছিলেন। তার বুদ্ধির সাথে কোন মানুষ পেড়ে উঠতো না। হঠাৎ একদিন তার মাথায় একটি বুদ্ধি আসল।যে আমি সাড়া জীবন কী ভাবে বসে বসে খেয়ে যেতে পাড়ি। তিনি খুবি চিন্তায় পড়ে গেল। তার কিছু দিনের মধ্য সে শুনতে পায় দূরে কে জানি বলছেন, ধামকা অপার ধামকা অপার অল্প কিছু খুন পড় এই অপারটি শেষ হয়ে যাবে। লোকটি বিষয়টি ভালো ভাবে বুঝবার জন্য কান সজাক করে রইলেন এবং শুনতে পেলেন ধামকা অপার ধামকা অপার মাত্র ৭০০টাকায় সাড়া জিবন বসে খেয়ে যেতে পারবেন। তাই শুনে লোকটি খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলেন। তিনি মনে মনে ভাবলেন এই সুজকটি কোন ক্রমেই মিশ করা যাবে না,কারন মাত্র ৭০০ টাকা সারা জীবন বসে খেয়ে যেতে পারবো।আর আমার কোন কাজ কর্ম করতে হবে না। তাই সে দ্রুত ৭০০ টাকা সংরক্ষন করার জন্য ছুটে গেল। গ্রাম থেকে গ্রাম মানুষের নিকট থেকে ৭০০ টাকা হাওলাত করে,সে মনে মনে ভাবলেন আহা কী আজ আন্ধের দিন আমি সাড়া জীবন বসে বসে খেয়ে যেতে পাড়বো। কোন কাজ কর্ম করতে হবে না। লোকটি সেই জায়গায় চলে গেলেন এবং গিয়ে দেখেন একটি লোক দোকানে চেয়ার বিক্রয় করতে আছে এবং সে বলছেন মাত্র ৭০০ টাকায় একটি চেয়ার কিনলে সাড়া জীবন বসে বসে খেয়ে যেতে পারবেন। লোকটি তাই শুনে হতো ভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন।