মনুষ্যত্ব মুক্তি পায়না আর্তচিৎকার করে নিরবতাকে ঘিরে,
রক্তপিপাসু পশুরা রাজত্ব জিতে নেয় অন্ধ প্রজাদের ভিড়ে  
স্বাধীনতার মৃত্যু হয় ধূর্ত রক্ষকের  হাতে ,
মরিচীকার মোহে বিভোর নাগরিক ফিরে যায় আধারের পথে  


গোলাপ বাগিচায় ফুলের চেয়ে কাঁটার দাপটই বেশি,
বিবেকের মুখে কুলুপ এঁটে পশুত্বের মুখে অর্থের হাসি
শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে কতক মানুষ স্বেচ্ছায় কর্মে অভিলাষী,
একই মানুষ অন্ধের মতো নিগৃহীত আদর্শে বিলাসী


জাগ্রত কবির কলমই মুক্তির স্নিগ্ধ অস্ত্র,
জাতি হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে ইহাই উৎকৃষ্ট শাস্ত্র
সুবিবেচকের উক্তিকে উড়তে দিতে হবে বাস্তবতার আকাশে ,
সমাজব্যবস্থায় বাধাহীন হতে হবে মত প্রকাশে


ক্ষমতার লোভে অস্তিত্ব বিসর্জন দিতে ভাবে না একটিবার,
সত্তার বিপরীতে অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে চায় দূর্বার
শুভ্র মানসিকতার ভালোবাসায় রাঙিয়ে তুলতে হবে জঞ্জালের ধরণীকে,
প্রজন্ম যেন বাঁচার অস্তিত্ব  খুঁজে পায় ইতিহাসের লেখনীতে |