আমি খুব সন্তর্পণে হেঁটে যাই একাত্তরের পঁচিশে মার্চ কালরাত্রিতে,
অলিতে গলিতে ঘুরে ঘুরে দেখি ধ্বংসের তান্ডব,
দেখি আগুনের লেলিহান শিখা,
শুনতে পাই ট্যাঙ্ক ও গুলির শব্দ,
আর মানুষের মর্মন্তুদ চিৎকার।
কোন নরক থেকে নেমে এসেছে যেন একঝাক নরঘাতক পশুর দল,
যারা মানুষের রক্তে রঞ্জিত করেছে অলিগলি রাজপথ,
কোন নৃশংস দানব আচমকা এসে সংহার করেছে সকলের প্রাণ।
চারপাশে নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষের আর্তনাদে কাঁপছে রাতের বাতাস।
ভারাক্রান্ত মন নিয়ে দেখি সারি সারি শহীদের মৃতদেহ,
সতর্কতায় হাটি যেন পায়ের ছাপ পরে না যায় কারো বুকের তাজা রক্তে।
প্রতিটা ঘর যেন একেকটা অরক্ষিত স্বেচ্ছা কারাগার।
বেঁচে থাকার তীব্র বাসনায় সশস্ত্র কেউ ছুটে যাচ্ছে দানবের মোকাবেলায়,
কেউ ভয়ে, আতঙ্কে লুকিয়ে থাকছে চিলেকোঠায়।
আর আমি এক বুক যন্ত্রণা নিয়ে ফিরে আসি বর্তমানে,
আমার স্মৃতিতে জমা হয়ে থাকে সেই ভীতিকর রাতের মুহুর্ত,
এখনও ভুলি নাই ভাইয়ের প্রাণহীন শরীর,
বোনের এলো চুল, বেয়নেট আর বারুদের গন্ধ।
ভুলি নাই সেই ভয়াল ও বীভৎস কালরাত্রির ঘাতক,
নরপিশাচ ও বর্বর কাপুরুষদের।
যারা রাতের আঁধারে হিংস্র স্বাপদ হয়ে কেড়ে নিয়েছিল,
আমার বোনের সম্ভ্রম, ভাইয়ের প্রাণ।


                                         ২৬/০৩/২০২৪ খ্রিঃ