তোমার সাথে এমন করে হঠাত্ দেখা হবে
কখোনো ভাবিনি প্রত্যিশা, চোখের জল মোছ ।
তোমাকে কষ্ট দেয়ার ইচ্ছে আমার ছিল না কখনই
আমার অন্তঃকোনে সবসমই একটা ভয় থেকে যেত
কখনও যদি তোমার সম্মখে পরি, তাহলে-
সেজন্যই তো নিজেকে গুটিয়ে পালিয়ে থাকতাম সবসময়;
অতীতকে আর কাছে টেনে কি হবে
আজ তুমি আর আমি দুই বিপরীত স্রতধারা,
আদিগন্ত বিস্তৃত মহাপৃথীর অজানা কালো গহ্বরে
কে কখন হারিয়ে যাই- তখন, কেইবা মনে রাখবে সে কথা!
মনে রাখবে এমন কাউকেই তো বলা হয়নি,
আন্তঃহৃদয়ে যে ধ্রুব অমর আকর্ষণ-
তোমার আমার মাঝে ঠাঁই নিয়েছিল একদিন
তার তো মৃত্যু হলো না, প্রত্যিশা!
তাই হৃদয়ের কলকল ধ্বনী শোক-বীনায় শোনা যায় ।
এই তো গত বসন্তের প্রথম দিনের কথা-
আমি দাওয়ায় বসে আছি, টবে ফুটফুটে একটা গোলাপ
তখন কোন অদৃশ্য উম্মত্ত আবেগে নয়
আমার চক্ষুগোলকের শীর্ষদেশ থেকে নিম্ন সিঁড়ি বেয়ে
অবাধে অশ্রু ঝরল । সেদিন শ্রাবন সহমর্মিতা দখায়নি ।
দেখাবেই বা কি করে, সেতো তোমার বসন্তকাল ।
বীর দর্পে অহমিকায় যেদিন পাশ কাটিয়ে নির্ধিধায়,
চরম অবহেলায় আমাকে ফেলে যাওয়ার অভিনয় করলে
সেদিনই আমি বুঝেছিঃ এই শুন্য বাবুর থালা-
কোন দিনই পূর্ণ হবে না । প্রত্যিশা, তুমি তো সুখেই আছ ।