এক জোড়া কবুতর-কবুতরির গল্পঃ  কবুতর খুব সাধারন কিন্তু কবুতরি তার থেকে ব্যতিক্রম ও .........যাইহোক কবুতরি যেভাবেই হোক কবুতর কে তার প্রেমের জালে আটকালো । আবার সময় মত চলেও গেল । একটি চলে গেলে অন্যটির আর্তনাদ কেমন হয় ?
তাও যদি হয় ছন্দায়নে ?


                                    ১০০ কথা


আমি !
অতি সাধারণ !
তবে আছে এক মন !
যার বিস্তৃত গগণ ,
যেথায় লক্ষ-কোটি নক্ষত্রের ঘূর্ণায়ন,
ও একটি হৃদয়ের সঞ্চালন,
যার পুরাটা অসাধারণ ।
তবে কেন হল বিস্ফোরণ,
আমার সরল হৃদয়াংঙ্গন ?
কেন ছুড়লে ক্রোধের অগ্নিকোণ-        ১০
যা রুপ নিল অঘটন ।
হল এক মুষ্টি দুঃখের রোদন,
অপরিমাণ ক্রোশন,
একক হৃদয়ের ক্রন্দন,
যার ফলে এ হৃদয়ে এক মহা প্লাবন ।


হত যদি এমন-
এক মহা জাগরণ !
যা গড়তো নিদর্শন ,
দিত দিক-দর্শন !
ধর ! যেমনঃ                       ২০
হত যদি তোমার মন,
আমার মনের মতন।
বসে ভাবছি এখন-
বেশি না অল্পক্ষণ !
তাই অবলীলায় প্রশ্ন উত্থাপন,
কেন হয় এমন ?
মন থেকে নয় মন !
বড় হয় ধন ।
কোন সে কারণ ?
জানলাম নাও এখন ।                 ৩০
অথচ, কত রকম উদ্ভাবন,
আর কত রকম উদ্ঘাটন,
করছে সদা মন ‍!


তুমি কি নও সচেতন ?
খোল কর্ণ তোড়ন,
শোন এবার এখন-
তোমার কেন এত প্রলোভন ?
তুমি কি কৃপণ ?
কেন চাও এত ধন ?
কেন এত বেশি প্রয়োজন ?              ৪০
যার ফলে প্রেম পর্যন্ত বিসর্জন !
কেন তোমার চলন ?
কেন ছেদপ্রবন ?
কোন সে উপলক্ষণ ?
কেন অকুলন ?
কি বিহনে পরিবর্তন ?
করে প্রেম উপবেশন ।
কেন তোমার পৃষ্টপ্রদর্শন ?
তাও শীতলে গলন !


ভেবেছও কি কখন ?                   ৫০
না ভাবলে ভাব এখন !
আমি ভাবি প্রতিক্ষণ ।
আছে কি স্মরণ ?
কিভাবে দিয়েছিলে কিরণ ?
মনে দিয়ে ঘর্ষণ !
তৈরি করে চিত্রায়ন !
করেছিলে আরোহণ,
মেখে সোনালি আল্পন,
না মেনে চন্দ্রায়ন,
এসেছিলে হয়ে বসন্তের কূজন,              ৬০
নিয়ে হাসি মাখা আনন,
ছিলনা কোন আঘূর্নায়ন,
ছিল শুধুই স্বপন,
এভাবেই বিছিয়েছিলে প্রেমের আস্তরণ।
গড়েছিলে সন্ধিক্ষণ,
দিয়ে সুবাসিত চন্দন ।
তাই হয়েছিলো আলাপন,
মনে মনে আলিঙ্গন,
কত শত আকর্ষণ,
কত ছিল প্রতিজ্ঞায়ন,                 ৭০
বলেছিলে জাবেনা কোও কখন,
তাই করেছিলাম বরন,
দিয়ে মিষ্টি সম্ভাষণ,
সাথে হৃদয় নিংড়ানো অভিনন্দন,
দেখে সুন্দর মন,
মন করেছিল গ্রহন,
নয় দেখে সুদর্শন,
এটা শুধুই ছিল আত্মদর্শন,


কেন সৃষ্টি করলে নব উদাহরণ ?
কেন করুন উদীরণ ?                 ৮০
কেন অপনয়ন ?
কেন উত্তপ্ত নিবারণ ?
কেন অপনোদন ?
কেন হৃদয়ে-হৃদয়ে দূরীকরণ ?
কেনইবা নব আস্বাদন ?
কেন খুললে হৃদয়ের আচ্ছাদন ?
কেন এই অভিবারন ?
কেন অন্যে অনুস্মরণ ?
কেন করেছিলে ভালবাসা উত্থাপন ?
এই মন করেছিলে শূন্যে উড্ডয়ন ?          ৯০
কেন করেছিলে হৃদয়ে-হৃদয়ে সমতায়ন?
আবার কেনইবা হল পতন ?
কেন এই জ্বালাময়ী প্রতিফলন ?
আমি কি এতই অভাজন ?
বল, ভেজার কি কারণ ?
এ দুনয়ন-কোন ।
কেন এই হৃদয়ের রক্তক্ষরণ ?
বল,কোন সে বিহন ?
কেন করলে উদ্বহন ?
কেন হলে নবায়ন ?                 ১০০
কেন দিলে সুখ অরণ্যে দাহন ?
ভালবাসার এটাই কি ধরণ ?


হাসান আল মাহমুদ
২১ ফেব্রুয়ারি -৩১ অক্টোবর ২০১১
সমাপ্তি লঘ্নঃ রাত ২:৫৭