একটি দেশকে স্বাধীন করতে না পারা যতটা যন্ত্রনাদায়ক,
স্বাধীন দেশের মাঝে দুর্নীতি প্রতারণা আর
বিশ্ব আদালতে মাথা নিচু করা তার চেয়ে বেশি যন্ত্রনাদায়ক।


১৯৭১ সাল ১৬ ই ডিসেম্বর,
দিনটিতে আমাদের বাংলার মাটি স্বাধীনতার মঞ্চে উজ্জীবিত হয়
লাখ প্রাণ আর সম্মানের বিনিময়ে স্বাধীনতা
আজ আমরা ভোগ করি।


সন্তান হারানো মায়ের কান্নার আওয়াজ
আজও অনেকেই শুনতে পায়।
সীঁথি সিধুর মুছে যাওয়া বিধবা রমনী
এখন আর নীল শাড়ী পড়ে না,
আলমিরার এক কোনে পড়ে থাকা জার্সিটা
আজ ধুলোয় পরিপূর্ণ,
স্কুল কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক অনুষ্ঠান ব্যতীত
কোথাও মেলেনা সম্মান সাহসী বীর গাজীদের,
একটি পুষ্পের তোরা আর দুটি সেলুট
বিদায় নেয় সংগ্রামী নেতা।


ইহাই- কী জীবন? ইহাই- কী দেশ প্রেম?
অন্য কাউকে না, বাঙ্গালী তোমাকেই বলছি
কোথায় গেলো তোমার সেই সাহসী বজ্রকন্ঠ
কোথায় লুকিয়ে রেখেছ মাতৃভক্তি,
নাকি দুর্নীতি অনাচার আর প্রতারনার বিনিময়ে উজার করে দিয়েছ,
নাকি বিদ্রোহীর সমুদ্রে বাসিয়ে দিয়েছো।


নজরুলের সাম্যের গান শুধুই মুখে না বলে
কাজে কর্মে দেখিয়ে দাও আমরাও পারি।
দেখিয়ে দাও বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দাও তোমার শত্রু- মিত্র সকলকে,
হাত- পা আর অলস মস্তিষ্ক কে পুষে না রেখে
শক্ত মুঠোতে ঘুরে দাড়াও, হাতে হাত রাখো, কাঁদে কাঁদ মিলাও
জাতি, ধর্ম, দল, মত সকল ভেদাভেদ
ভুলে গিয়ে আবারও দেশকে শত্রু মুক্ত করো।
বাঙ্গালী তোমাকেই বলছি।
চুপ থেকোনা, সাম্য কে জাগ্রত করো
স্বার্থকে ছুড়ে ফেলে দাও
সকল দল-মত ভেদাভেদ নিঃশেষ করে দাও
জাগ্রত হও, বাংলাকে বাঁচাও তোমার মাকে বাঁচাও
হাতে-হাত রাখো, নিশ্চয় জয়ী হবে।