এই যে ভাই বাবুল যাচ্ছো কোথায়
কাঁধে ব্যাগ হাতে ফাইল সুট বুট লাগিয়ে।
চাকরির পরীক্ষা তাই আর কি।
তো ভায়া চাকরিটা হবে কি?
হবে কি হবে না তাতো পারবো না বলতে
যাচ্ছো ভায়া যাও মনে রেখো তবে
আমরা বাঙালি বাংলার সেবা করাই যেন হয় মূল উদ্দেশ্য।
যুবক বাবুল  ঊর্ধ্বগতিতে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে
সময়টা তখন সকাল ৮ টা কি ৯ঃ ৩০
ছেলেটার বুক ভরা আশা বেশ ভয়ও আছে
সেবা দিতে পারবে কি প্রিয় মাতৃভূমিকে।
মায়ের জন্য একটি প্রদীপ আনতে পারলেই মহা খুশি।  
দশটা থেকে শুরু ভাইবা হয়েছে
একেক জন যাচ্ছে  আসছে, কেউ খুশি আবার কেউবা গোমরা মুখ
একটা সময় বাবুল এর ডাক আসলো,
তবে একি কাণ্ড বাবুল ছুটে পালাচ্ছে, কেন কি হয়েছে তার?
আমি যাচ্ছি, যাচ্ছি আমি শুনলে
বাংলার বুকে ফিরে যাচ্ছি
মায়ের বুকে ফিরে যাচ্ছি
জীবনানন্দের রূপসী বাংলায় হারাবো আমি
আমি যাচ্ছি মায়ের বুকে ফিরে যাচ্ছি।
  বাবুল ছেলেটি কি থেকে কি হয়ে গেল
  লোকে পাগল বলে বেড়াচ্ছে
  আবার কেউ বা মজা নিচ্ছে
  ''বাবুল ভায়া শিবরামের'' রম্য রচনা রটাচ্ছে।
আমি বাবু বলছি,
অন্যের উপর জুলুম করে চাকরি করার চেয়ে নিজের কাজ নিজে করো
মাকে ভালোবাসো প্রকৃতিকে ভালোবাসো
দেখবে প্রকৃতি তোমাকে তার সব উজার করে দিয়ে দিবে।
   বাবু চিৎকার করে করে বলে যাচ্ছে।
বর্তমানে আমাদের ভদ্র সমাজের কেউ কেউ
তাকে নিয়ে বেশ ভালো তর্ক-বিতর্ক রটিয়ে নিয়েছে।
   আমি বাঙালি, বাংলার প্রকৃতির বুকে বেড়ে উঠা আমার জীবন,  
    নিজের প্রতি ঘৃনা হচ্ছে আমার
    কতটা স্বার্থপর হয়েছি আমি,
    তোমারি  ক্ষতিতে পা বাড়িয়েছি আমি!
    ক্ষমা করো আমার প্রিয় বাংলাদেশ
    ক্ষমা করো তোমার এই পাপী সন্তানকে
    কথা দিচ্ছি আজ দিব না কষ্ট কোনদিনো তোমায়
    গর্জে উঠবে তোমার সন্তানেরা নিঃশেষ করবে শত্রু সকল,    
    দুর্নীতি অনাচার বৈষম্য সমালোচনা
    একে একে যাবে তলিয়ে,
    সুশিক্ষা ভ্রাতৃত্ব মানবতা শিষ্টাচার
    মিলে তৈরি করব দক্ষ জনগোষ্ঠী,
    কথা দিচ্ছি মা তোমায়
    মাথা নত করব না কারোর কাছে।
উৎসর্গ করে দিলাম আমার এই তুচ্ছ জীবন।
প্রিয় বাংলাদেশ। প্রিয় বাংলাদেশ। প্রিয় বাংলাদেশ।