আর কিছুই লেখা যাচ্ছে না!
শব্দগুলো বড়ই নিঃশব্দ;
দিকচক্রবালের তাল সারির মতো,
ঘুম ঘুম রাতের অপেক্ষায় সান্ধ্যকালীন মহড়ায় ব্যস্ত।
অনেকগুলো ভাব জড়ো করে ঝোলার ভিতর পুরে,
সোনালী ধান ক্ষেতের আলপথ ঘেঁষে প্রহর গুনছি!
শেষ বকটাও গেছে উড়ে রাতের আশ্রয় খুঁজে-
কোন শব্দ আর পাওয়া হোল না,
অস্তরাগের শেষ আলোয় উজানের স্রোতে-
মরিয়া চেষ্টা করেও কিছুই জুটলনা।
এদিক ওদিক, আনাচ কানাচ,ঘুরপথ সোজাপথ-
সব ঘুরে ফিরছি যখন;
তখন রাতের শরীর আরও ঘন কালো;
ঝোলাটা ঝুলিয়ে দিলাম খোলা জানালার কাছে-
হিজলের ডালে তখন জোনাকিদের জলসা,
শব্দ খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দিলাম বিছানায়!
ঘুম এলো অবশেষে-
আর তার সাথে এলো কতগুলো হতচ্ছাড়া হাড়হাভাতে স্বপ্ন।
দুমড়ে,মুচড়ে,নিংড়ে,খুবলে খাবলে একেবারে ছিন্নভিন্ন করে-
মাঝ রাতের শেষ প্রহরে ঘাড় ধরে দিল তুলে;
চেয়ে দেখি প্যাঁচাদের রাতজাগা চোখ স্থির সেদিকে-
যেখানে আমার ভাবের ঝুলি গেছে উড়ে,
কোন এক অচেনা ঝোড়ো বৈরি বাতাসে ভেসে শব্দহীন।
এখন আর আমার কাছে একটিও ভাব নেই,
এখন আর আমার কাছে একটিও শব্দ নেই,
আর কোনকিছু আমার কাছে উপন্যাস হতে চাইবে না-
কোনকিছু কবিতা হতে চাইবে না
তাই আর আমার কোন যন্ত্রণা নেই-
এখন আমার শুধু মৃত্যুর মতো নিরুপদ্রব আনন্দ;
বাঁচি সদা মৃত্যুর মতো ।