ঘুম এলো অবশেষে, তেরোটি বছর পরে!
ঘুম এলো অবশেষে, সমুদ্র চোখের নীল রাতে—
পরাগরেণু ছড়িয়ে পড়ছে পাহাড়ের গা বেয়ে,
খন্ড খন্ড কালশিটে রক্তের নুড়ি জমছে মোহনায়!
প্রজাপতি রঙ্গীন ডানায় মৃত্যুর হুল লুকিয়ে উড়ছে,
কাঁচ ভাঙ্গা শব্দের ডাকে দাবানল রক্ত ক্ষরণ,
কৃত্রিম সঙ্গমে শান্ত, ঈশ্বরের বিস্তৃত দালান কোঠা,
অপেক্ষমান ঝঞ্ঝার পূর্বের দুই চোখে চোখাচোখি,
তারপর গভীর সংঘাতে বীভত্স  জলোচ্ছ্বাস!
তখন হয়তোবা হাঁ থাকা পাহাড়ের বুক চিরে,
কাতর কামনার প্রত্যাখানে জন্ম নেবে বৃহন্নলা,
নিষ্ফল গাণ্ডীব সমাহিত বৃক্ষের জড়ানো লতায়,
নির্লোভ ঈশ্বর ছুঁতে পারেনি তাকে তেরোটি বছর ধরে,
অনেক দিনের পরে—
তেরোটি বছর পরে,উত্তরাধিকারী তৈরির ছুতোয়,
ধর্ম অধর্মের জটিল তত্বের ভিড় ঠেলে,
শেষ হয়ে যাবে অষ্টাদশ পর্বের ইতিহাস,
স্বর্গ পথে, কেউ অরণ্য পথে, সবাই গেছে চলে—
আমি তো একা!একা জন্মেছি বিস্তৃত ভূখণ্ডে,
আমার চোখেও রয়েছে জীবন্ত অষ্টাদশ পর্ব,
তাই আপেক্ষিক ধর্ম অধর্ম হতে আমি মুক্ত,
আমি যে জন্মেছি মহাভারতের পরে,নতুন যুগে—
খন্ড খন্ড কালশিটে জমানো রক্তের নুড়ি থেকে,
হয়তো মানুষ বলা যাবে না আমায়,
আমি ঠিক রয়েছি ঈশ্বর মানুষের মাঝামাঝি,
নামকরণ হয়নি এখনো তাই—
ঘুম এলো অবশেষে, সমুদ্র চোখের নীল রাতে....!!!!