হয়তো অগণিত উত্সবে খুঁজেছ আমায়,হে আগন্তুক—
ছুটেছ অবিশ্রান্ত সাপুড়ের প্রতিকী বিনের সুরে,
অক্লান্ত বাঁক নেওয়া মেরুদণ্ডের কঠিন পরাক্রমে,
দেখতে চেয়েছ দাবানল উত্সবে হলুদ আগুন শরীর জুড়ে,
পাঠিয়েছ অনেক খেয়ালি চিঠি ভুল ঠিকানার ঘরে,
তবু পারনি পৌঁছতে পথ চিনে রাতের জ্যোত্স্না  স্রোতে,
আবছা কাঙালি শরীরের ভিড় জমা কৃত্রিম মিছিলে।
অন্তহীন আকাঙ্ক্ষা তারপর একদিন যাবে ছেড়ে,
বিরামহীন পৃথিবীর গতিপথে বেতালা সন্ধান,
চুপিসারে থেমে যাবে কোনও এক পরিচয়হীন বাঁকে।
সব সাধের সৌধ শরীরে জমবে তখন শ্যাওলা আস্তরণ,
তারপর ঠেলে সরিয়ে দেবে হয়তোবা মুছে দেবে কেউ,
মৃত পাথরের নুড়ির মতো গহীন খাদের অন্ধকারে,
ছায়াহীন অবয়ব তখন নিরুত্তর কিংবা থেকে যাবে প্রশ্নহীন।
তবু যখন এসেছা এ দ্বারে কিংবা যদি আস আবারো ফিরে,
আমার সকল ত্যাজ্য ঠিকানার রাজাহীন প্রজাহীন সম্রাজ্যে,
তবে রেখোনা ঢেকে মুখ অতীতের কুণ্ঠিত অবগুণ্ঠনে,
দেখো চেয়ে সঙ্কোচহীন,পেরিয়ে এসো হাতে হাত রেখে,
তারপর হয়তোবা চিনে যেতে পার চোখে চোখ রেখে,
অশরীরী ঠিকানায় কেমন রয়েছি একা দেখবে চেয়ে—
হে আগন্তুক— এসো আমার মৃত স্বপ্নের ঘরে,
পেয়েছি যা অতীতের অনেক আগে তোমারি হাত ধরে।