অকথিত শব্দ যে আজ,পথ খোঁজে চোখের ধারাপাতে,
শুধু জেগে থাকে অদৃশ্যে,অন্তরালে পুঞ্জীভূত কালো মেঘের মতো,
সেতারের কান্না কান পেতে শোনে যেন অচেনা উদাসী বাতাস,
কেউ আর নেই জেগে!কোনোখানে—কোনো খেয়াঘটে,
নিথর শরীরে তবু জাগে জীবন্ত নিশ্বাস ঘুমন্ত শিরীষের মতো,
স্নায়ুতন্ত্রের গোপন বৈঠকে চলে অবিরাম বাঁচার লড়াই,
শত শত যত লোনা জল ভাষা; মিশে যায় অদৃশ্য ছায়াপথে,
কিংবা শব্দহীন দুর্নিবার প্রবাহের ঘূর্ণিতে,অশান্ত নদীর বুকে!
আর শুধু উত্তর হীন নগ্ন আকাশ করে নিলাজ আহবান,
দিগন্ত জুড়ে জরির চাদরে বিছানা পাতে সর্বনাশী চাঁদ প্রতি রাতে—
অসহায় পৃথিবীর ভেজা চোখ ক্রমে হয়ে ওঠে বানভাসি।
হয়তোবা জন্ম বৈরাগ্যের রক্ত নিয়েছে কিনে ভুল করে—
ভুল ঠিকানার কোনো ঈশ্বরের মায়াময় দোকান হতে!
বিবাদ করে,যুদ্ধ করে যে তারা তাই শিরা ধমনীর প্রতি বাঁকে,
ছিঁড়ে বেরিয়ে যেতে চায় সেই রক্ত স্রোত,কালো রাত্রির বুক চিরে,
মিশে যেতে চায় দুর্বার আস্ফালনে, লীন হতে চায় কাঙ্ক্ষিত কামনায়,
তাই এত রক্ত এত রঙ ঝরে,কিংবা জমে ওঠে কল্পিত ক্যানভাসে।
পৃথিবীটা ধ্বংস হয়ে গেছে হয়তো ভেতরে ভেতরে চুপিসারে,
তাই শুধু তরঙ্গ ওঠে ছায়াশরীরের অন্তহীন গভীরে বারে বারে,
আর ঢেউয়ের প্রসারিত বৃত্তের রেখা মৃত্যুর হাত ধরে ছোটে,
দূরে— অজানা অন্তহীন ঠিকানায়! নিরুদ্দেশে।
তবু বার বার বাঁচা—বার বার বেঁচে ওঠা—
ছুঁতে চেয়ে মৃত্যুর হাত, মৃত্যুকে ভালোবেসে।।