অন্তহীন পথে আপন শরীরের ছায়া,
দীর্ঘ,আরও দীর্ঘ হয়ে চলে চোখের তারায়,
কতবার চেয়েছি ছুঁতে আবছা আলোর শেষপ্রান্ত,
শুধু মাড়িয়ে গিয়েছি নিজেকে আলপথে—
ছায়া! সে তো আমারই,তবু বন্ধু নয় যে সে,  
তাই সখ্য হয়নি কখনো যে তার সাথে—
সে শুধু সমুখে বিছানো কাল্পনিক চিত্রপট,
আমারই সব আলো—সব রঙ শুষে,
ছলনায় মেতেছে মহোৎসবে,
তবু জেনো একদিন তোমার আকাশ হতে,
মুঠো মুঠো সরিয়ে নেবো সব নক্ষত্র আলো,
ভাসিয়ে দেব পেছনের পথে—
কালো মেঘের অন্তরালে!
সূর্যের অনন্ত শরীরে মিশিয়ে নেবো নিজেকে,
তারপর! ঝিঁ ঝিঁ ডাকা কোন সন্ধ্যায়,
আকাশের পানে যদি ওড়ে সাদা মেঘ ধোঁয়া,
তুমি শুধু চেয়ে থেকো তার পানে,
বৈরিতার শেষ ক্ষণে যদি বিচলিত হই,
তোমার পরাজয়ে—
তবু অনন্ত ছলনার মৃত্যুতে তৃপ্ত হব সেদিন,
ছায়া! তোমার অসহায় শরীর এরপর হবে লীন,
হয়তো সেদিন আমার অচেতনে প্রসারিত হবে ঠোঁট,
অন্তিম সুখ হয়তোবা চাইবে না যেতে থেমে!
যতই ঝরুক জল! ছায়া— তোমার মৃত চোখে!