শিশির ভেজা নীল আলো চোখের তারায়,
মখমলি চাদর বিছানো জ্যোৎস্নার কানে কানে—
শীতল হেমন্ত শরীর কত কিছু কথা বলে!  
শেষ খেয়া হয়নি তখনো বাওয়া,
মেলেনি তখনো ডানা মায়াবী রাতের পাখি।
শুকতারা আলোর পথে বুক ভরা ভাটিয়ালি,
খর স্রোতে যায় ভেসে ঠিকানার দিকে ধেয়ে।  
ওই পারে যাবে মাঝি! ব্যতিক্রমী অভিপ্রায়ে—
লন্ঠন জ্বালা উঠোন পেরিয়ে কাঁঠালিচাঁপার ঘ্রাণে,
আকাশের ওই গায় মেঘেদের সাথে সাথী হয়ে!  
অরণ্য জনারণ্য সব ফেলে পেছনের পথে,
ব্যাকুল প্রাণে—নক্ষত্র লোক ঠিকানার ঘরে!  
তবু যত দূরে আরো যেতে চায় পথ যাক—
সাদা ফেনা ঢেউ মুখে হয়তোবা চাতকের চিৎকারে,
ঘামে ভেজা খেয়া বেয়ে তবু মাঝি আকাশের ঘরে,
একদিন হয়তোবা বেঁধে নেবে ঘাটে শেষ খেয়া তরী,
তারপর খেজুরের মুখে মুখ কলসির ভরা রসে—
মাধবীলতার সুবাস ছড়ানো উঠোন—
হয়তোবা দুহাত বাড়িয়ে,দেবে সোনালি আলিঙ্গন!
ছুঁয়ে শীতল হেমন্ত শরীর নবীন আলোর সাথে।