অফুরন্ত তাচ্ছিল্যের চক্রব্যুহে—  
বেশ আছি শামুক খোলস গহ্বরে!  
বেশ আছি মজলিস মগ্নশৈলের মতো—
তবু নীল শরীরের নিঃশ্বাসে জমা বুদবুদ,
ঢেউ হয়ে ওঠে বারবার,যায় ছুটে—
গভীর হতে অগভীর রুক্ষ উপত্যকায়,  
লৌকিক ইচ্ছের বধ্যভূমির ফ্যাকাসে ঠিকানায়!    
লালমাটি তৃষ্ণা ছোটে—ঝাপসা ছায়ামূর্তির পিছে—
উত্তর হতে দক্ষিণ, পূব হতে পশ্চিম!  
তাই যে এখনো ওড়ে পোড়া পাণ্ডুলিপি,
মিছিলের মাথা জুড়ে চারিদিক—
আর্তির শেষ স্বরে নীরক্ত হতে হতে!
তবু কালো আগুনের প্যাঁচানো ধোঁয়া—
ধ্রুপদী বাতাসের সাথে করে আলিঙ্গন,
যায় ছুটে আকাশের দিকে ঝলসানো রোদ্দুরে,
দেখা যায় সব,যায় চেনা অতীতের মতো—
বর্তুল খোলসের দেয়াল পেরনো পথে!  
এখন আমি মর্মজ্ঞ, তাই মর্জি মাফিক—
শুনি না অবাঞ্ছিতের অকারণ যশকীর্তন,
চাই না শুনতে আর গুহা অন্দর হতে।
প্রপঞ্চময় কমলেকামিনী যতই জাগুগ সাগর বুকে—
ত্যাগ তিতিক্ষায় সঁপেছি সকল যশস্কাম,
যত ঢেউ ওঠে উঠুক ভাঙে ভাঙ্গুক,
দৃষ্টি ফেরানো থাক পাঁচিলের এপারে।    
যাওয়া আসা চেনা পথের সব জানা গেছে,
অভিমন্যু নই আর কোনভাবে,
তরঙ্গায়িত ঢেউসাথে আর নয় ছোটা—
বাঁচার ইচ্ছেকে হয়তো বাঁচানো যাবে এবার,
নিস্তরঙ্গ গভীর স্রোতের নীল শরীর ক্ষেতে।