সময় যেন হঠাৎ গেল থেমে—
সব ছবি ভেসে এল শূন্যপথে,
ভেসে এল অনেক সময় জুড়ে!
তারপর কত কথা শুধু একার মতো,
বেশ কিছুক্ষণ থেকে যাওয়া তোমার সাথে,
কাটানো—ধুলো জমা ইতিহাস পাতায়!
বিবর্ণ চিত্র মুছে চলা অনেক আদরে,
কত কথা বলা হয়তো প্রলাপ ঢঙ্গে;
সেই প্রথম আলাপের মতো!
তারপর কখন দুপুর গড়িয়ে বেরঙ বিকেল—
আবার সেই বিকেল!বেসুরের দৈন্যতায়,  
একতারার ছেঁড়া তারের মতো,
মেঘে ঢাকা তারার মতো,  
তোমার ফেলে যাওয়া পথের শূন্যতার মতো,
ঘিরে ধরে বিষাদ বিভীষিকায়!
তবু তাও সব যায় সয়ে—
তোমার ফেরার পথ চেয়ে,
গিয়েছিল সব সয়ে কষ্টিপাথর শরীরে;
মজে যাওয়া নদী চরের বুকচিৎ কান্নায়—    
যখন সময় নিয়ে যেত হাত ধরে;
তোমার কম্পিত ঠোঁটের অব্যক্ত আহ্বানে,
অচেতনে—স্বপ্নময় আলিঙ্গনে!
এখন সে সব হয়তো ঝড়ের ছবি,
ঝড়ের বাতাস আসে—যায় থেমে!
এঁকে দেয় ধ্বংস চিত্র অকরুণ রুপে,
গুহা চিত্রের বোধহীন অভিব্যাক্তির মতো—  
নিঃশ্বাস বাতাস—সে শুধু আঁকে জীবন ছবি,
ঝড়ের মাঝেও সে বড় সংখ্যালঘু ব্যতিক্রমী,
বাঁচে শুধু পটে—বড় অসহায় সম্বলহীন!
সময় তুমি থেমো না কখনো আর,
বিকেলের পথে তাকানো নয় আর,
শুধু দৃষ্টিশূন্য হতে চাওয়া অন্ধকারের মতো,
রাতের গভীরে ছুঁতে চাওয়া শুধু একফোঁটা জল—
চেনা সে চোখের তারা হতে,
গড়িয়ে পড়েছে যা কোন এক কালের প্রবাহে—
এখনো যা বয়ে যায় মেরুদণ্ডের ধার ঘেঁষে;
বাধাহীন স্রোতের বেগে নিঃশব্দে,
যায় ভেসে অজ্ঞাতবাসে বহুকাল ধরে!
বৃষ্টিহীন মেঘ তুমি যাও সরে—
পড়তে চাওয়া যাবে না আর কোন ইতিহাস,
ক্যানভাসে থমকে থাকুক তুলি,
রাত্রি নামুক দুচোখের পাতা জুড়ে—
থেমো না সময় আর অকারণ—
হাঁটো—হাঁটো তুমি তোমার আপন পথের পরে!