তোর জন্য অসম্ভব অপেক্ষা ফুরিয়েছে—
ঘুম ভাঙ্গা সকালের চোখে;
জমে থাকা কুয়াশায় তোর লজ্জাহীন নিঃশ্বাস;
কেটেছে আঁচড় জানালার ঝাপসা কাঁচে!
কি যেন কি আঁকা আছে জলছবি,  
জীবনহীন মৃত শঙ্খের মতো!
তবু তারি পরে রঙ লাগে শূন্য চেতনায়—
রঙ মাখে চোখের তারা রাতদিন,
শরীরের বাঁকে বাঁকে পাক খায়;
শব্দহীন বাতাসের ঢেউ!
তারপর উজাড় আর্তনাদ যায় ভেসে;
জনারণ্য হতে কল্পলোকের ঠিকানায়!
ফসিল শরীরে বেঁচে থাকা শেষ রক্ত ছুঁয়ে—
অন্ধকারের বুকে রাখা হাত ভেজে;
ঝরে ঝরে পড়ে কাঁচভাঙ্গা শরীর হতে;
অতীতের অতৃপ্ত ইতিহাস!
রঙিন আলোর বন্যা তবু যায় বয়ে;
চোখের কোণে জমা জলের বিন্দুর পরে;  
ধুয়ে নিয়ে যায় তারপর অচেনা স্রোতে—
ঘামে জমা জলে ভাসে সব ভিতর বাহির হতে;
কিংবা মিশে হারায় আকাশের নীলে!
তবু বাঁচা চাই হয়তো অন্য কোনভাবে,
মৃত্যুরও পরে অনেক জন্ম ধরে—
তাই তোর সাথে চলা সেই পুরানো ফুরানো পথে,
মৃত্যুর হাত ধরে শুধু ছোটে প্রাণ মৃত্যুদূতের রথে।