সর্পিল শরীর যায়—শীত ঘুমে বার বার—
দলা পাকা শরীরটা এঁকে বেঁকে ফুঁসে তাই,
আড়মোড়া ভেঙ্গে ভেঙ্গে আগুনের রঙে রঙে,
চেরাজিভ ভিজে ভিজে উষ্ণতা খোঁজে ওই!
কোন একদিন তারপর মিছিলের মহা দলে—
কিলবিল নিঃশ্বাস ফেলে ওরা হাঁটবে,
শরীরের গা বেয়ে—একেবারে শেষে গিয়ে,
বিষ থলি দাঁতে চেপে সোজা হয়ে বসবে।
আকাশের উপচান খসে পড়া তারাসব—
কার পানে ধেয়ে আসে কি ক্ষুধায় ছুটছে,
শীতল রাতের মাটি,তারি সাথে লুটোপুটি,  
আগুনের নীল আলো কারা যেন লুটছে!
জানালার ওই পারে চাঁদ ভাসা নদী জলে—
গোঙরানো মুখে ফেনা শুধু শুধু উঠছে,
পোড়া চাই, পোড়া চাই, ছাই কিছু ওড়া চাই,
নদী চর চোরা বালি যেন কেউ ডুবছে।
কি যেন ধরার ছলে কাকে কেবা ধরে ফেলে—
এরপর দিন যায় রাত যায় বারোমাস,
স্বপনের খুলে খাতা কঙ্কাল কয় কথা,
কত কিছু গোনা শেষে কথা শুধু ফিসফাস।
ঘিলু ভেজা সলতের তবু আলো আছে জেগে—
মাথার খুলিতে এমন কত বাতি দীপ জ্বলে,  
এ জীবন ও জীবন ছোটা ছুটি প্রাণপণ,
কত কিছু পাওয়া চাই তবু সব যায় জলে।
এভাবেই শীত আসে যায় শীত ঘুরে ফিরে—
উষ্ণতা খুঁজে মরে শরীর যে প্রতি বার,
যায় না কিছু যে ছোঁয়া শুধু যেন ধোঁয়া ধোঁয়া,
হিসেব মিলে না কোথাও যত রাখো খুলে দ্বার।