তুমি বাকিদের মতো শুধু এখন ইনস্ট্যান্ট,ভার্চুয়াল!
যে অরণ্যের মগডাল ছুঁয়ে ছুঁয়ে পাখি ওড়ে—
সম্পর্কহীন রোদ্দুর যেখানে শুধু সাধারণ আলো,
সবুজ যেখানে ঘন হতে হতে—নিজের শরীরে কালো,
যেখানে শুধু শরীরী টানে ঘোরে অস্থির চোখ,
তুমি সে সবেরই মতো আজ ইনস্ট্যান্ট,ভার্চুয়াল!


তুমি অবসন্ন মুহূর্তের সিগেরেট পোড়া ধোঁয়া রিং—
কিংবা এখন তুচ্ছ বদভ্যাসের চায়ের গ্লাসের চুমুক,
হয়তো শুধু ফাঁকিবাজি তর্কের টেবিল চাপড়ান শব্দ,
খবরের কাগজ ভরা বিজ্ঞাপনের অসার প্রতিশ্রুতি,
এ সবের মতো বড় সাধারণ,বড় কৃত্রিম উঠেছ হয়ে,
তাই তুমি বাকিদের মতো এখন ইনস্ট্যান্ট,ভার্চুয়াল!


তুমি সারাদিনের বহু অকারণের মতো একটা কিছু—
ভিড় সরে সরে যাওয়া অচিহ্নিত এক কালো মাথা,
দেয়ালে ঝুলে থাকা হয়তো শুধু এক মানচিত্র দেশ,
সিলিং ফ্যানের ব্লেডে জমে ওঠা ঝুল মাখা ধুলরাশি,  
জীবনের সাথে অকারণ ঘুরে ঘুরে চলা পথের বাঁক,
তাই তুমি সাধারণ থেকে অতি সাধারণ হয়ে ওঠা—
আর কোনকিছু নও—শুধু এখন—
ইনস্ট্যান্ট,ভার্চুয়াল!