কোথাও যেন অস্তচাঁদের আলো ছিঁড়ছে বাদুড় দাঁত;
আর কঠিন কাব্য ধুঁকছে শিশুদের সহজপাঠে-
ছোট খোকা ঝুঁকে ঝুঁকে পড়ে ওই উ, ঊ;
হোঁচটটা তারপর, আকাশে যখন তোলপাড় জমে মেঘ—
কালো মেঘ-জমকালো পাড় ভাঙ্গা নদী ঢেউ।  
ঘন মেঘ বর্ণমালায় খুঁজে পায় আদিম শব্দের অক্ষর—
তা দিয়ে ভেজে মাটি শরীর, সিক্ত স্নায়ু করে ছটপট;
হয়তো জাগে মিছে আশা-মরুযাত্রীর দীর্ঘ নিঃশ্বাসে!
নিদ্রা চোখ মন্ত্র শোনে কোন এক চক্রব্যূহ জয়ের!  
কালো মেঘেদের সঙ্গমে বানভাসি নীল পৃথিবী—
হয়তো তখন গেছো শামুক-ঘাসের বুকে নিশ্চুপ চিৎ শুয়ে;
খোলসের অন্তরালে এঁকে নেয় আগামী পৃথিবীর ছবি;
বৃষ্টি ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ শুঁকে না সে আর।
খুলে যায় অনেক কালের পরে-বহুকাল গুম মেরে বসে থাকা।  
লাভা জমা পাহাড় শরীরের নির্দয় মুখ জিভ।  
এপারের ওপারের সকলেই জেনে যায় ব্যাঙাচির জন্ম বৃতান্ত......
সবটাই বদলে যায় সময়ের হাত ধরে ক্ষণিক কোথাও থেমে,
হয়তোবা বদলে দিতে পার তুমিও সব ভালোমত।
আমার সে সবে মাথা ব্যাথা নেই কোনো আর,
শরীরটা পুড়বে,হয়তোবা পুড়ছে এখন যেমন অবিরত শব্দহীন-
পোড়া ধোঁয়া ঠিক পাবে খুঁজে শেষ ঠিকানায় ঠাঁই,
আকাশ রয়েছে ওই হাত পেতে,
হয়তো আমাকেও বদলে দেবে পৃথিবীর মতো
শামুক খোলসে ঢাকনা যাবে খুলে তারপর,
অজ্ঞাতবাসে আঁকা পথে তখন হাঁটুক নাহয় বদলানো ভবিষ্যৎ......!