কালো রাতের খামে—
চুপচাপ শুয়ে আছে ছায়াপথ;
গুণ্য গুণক বদলে নিয়েছে স্থান—
হাটে মাঠে চৌকাঠে!
তবু সর্ষের ক্ষেত রঙ মাখে হলুদ একইভাবে,
একইভাবে মাছি ওড়ে-মৌমাছিও!
সামাজিক চোখ লোহার বাসরে যেন-
ওঁত পাতা কালনাগিনী, খোঁজে ছিদ্রপথ;
লাগাতে চায় ব্যাভিচারের গা জোয়ারি তকমা;
শুকনো ঝরাপাতার মৃত শিরা উপশিরায়;
ও সবে পরোয়া নেই পৃথিবীর!
সে জানে ওসব-
সে জানে ওসব অসামর্থ্যের ঈর্ষাকাতরতা।  
তাই সব সরিয়ে ছুটছে সে একা একা;
সেও মাখে হলুদ রোদ!
তার ঘামে ভেজা মাটির বুকে-
পাতা মেলে চারাগাছ!
কোন এক পতঙ্গ জানে-
হয়তো তার জন্ম ইতিহাস-
কে জানে হয়তো তার মৃত্যু ঘটেছে;
আকাশের নীলে!
সামাজিক ছোব’ল হয়তো ঢেলেছিল অনেক বিষ;
সর্ষের হলুদ ক্ষেতে এখন সে শুয়ে নিশ্চুপ;
আর যায় না চেনা তাকে,
বিদ্রোহী বাতাসে এখনো কাঁপে তার ডানা;
আর—আমি দূর থেকে শুনি বাঁচার মন্ত্র।