পরিচয়হীন তবু খুব চেনা এক ছায়া,
রাতের গভীরে যায় মিশে;
ছুটছে কাউকে ছুঁতে;
হয়তো ক্ষণিক ঘুম’তে চায়;
ঘুম’তে চায় পরম আলিঙ্গনে-      
লীন হতে চায় অপার্থিব সুখে,
বহুকাল এভাবেই ছুটছে সে ছায়া!
হয়তো সে ছায়াটুকু শুধু-আমি,
হয়তো শুধু শরীরটুকুই আমি,
জানিনা-ঠিক কিভাবে কোনটা আমি,
ঠিক কোনটা আমি-
বলেনি কেউ কোনোদিন!  
আর শরীর ছুটছে একা একা-
কাকে যেন পিছনে রেখে যায় ফেলে,
জন্ম হতে জন্মান্তরে।  
কেউ পায় না হদিস কারোর!  
শুধু মহাশূন্যে ঘোরে ঝাঁকে ঝাঁকে-
নিঃসঙ্গ অভিমান!
নিরাভরণ ক্রমে নিরাবরণ হয়ে ওঠা সব;
পর্ণমোচীর মতো ঘুরেফিরে-
ফিরে ফিরে রক্তশূন্য হয়ে যাওয়া।  
তবু দাঁড়িয়ে অকারণ অন্য জন্মের প্রতীক্ষা!    
বার বার ভুল পথে-
শরীর কাটে সাঁতার,
রাতের বুকে জেগে ওঠা মাকড়সা জালে।  
জন্মের কারণে ঘটে মৃত্যু,
কিংবা মৃত্যুর কারণে ঘটে জন্ম,
সে হিসেব প্রয়োজনহীন,
হয়তো কেউ জানেনা তাই-  
এসব কেবলই বিবর্তিত জৈবিক!
কারণহীন নৃশংস রূপান্তর মাত্র;
তবু বেয়ে বেয়ে চলা,তবু হামাগুড়ি;
লাউয়ের ডগার মত শূন্যে চেয়ে থাকা,
ন্যুব্জ সময়ের বুকে রেখে পা-
ওপারের যৌবন ছুঁতে হাত বাড়িয়ে দেওয়া;
আবারো-আবারো-প্রতিবারের মতো,
খুব চেনা নিশ্চিত সর্বনাশের আহ্বানে।
শুধু জিভ শুকিয়ে ওঠে তাই চাই জল;
শুধু জৈবিক বলে ঠোঁটে ঠোঁট রাখে;
এক আকাশ মেঘ,
শুধু এক জন্ম হতে অন্য জন্মে-
শরীর বাঁচবে বলে ভিজতে চাওয়া;
চেয়ে থাকা চাতকের মতো,
জড় শরীর গুহায় জীবন ছুঁতে চেয়ে।
হয়তো নিজেকেই ছুঁতে চেয়ে......!!!!!!