আর কিছুক্ষণ আর কিছুক্ষণ পর
ফুটবে পূবের আলো,
জমাটবাঁধা আঁধারটা তাই বুঝিবা এতটা গাঢ়?
অন্ধকারে প্রেতটা রক্ত চক্ষে তাকায়,
বুকের রক্ত হিম হয়ে শরীরটাকে ঝাঁকায়।
বড় বড় ইয়া বড় নখ গুলো তার
বেহায়া নর্তকির ন্যায় নাচে,
কোমল মাংসের সুগভীরে খলখলিয়ে হাসে।
হাসি হাসি, সে হাসি,অট্টহাসি
গলে পরায় ফাঁসি,
শুভ্র সেতার দূর নীলিমায়                      
যায় যে ভাসি।


এ কোন ইবলিস,?
এ কোন আজাজিল হাসে?
শকুনের মত বিবর্ণ নীল চক্ষু  নিয়ে
ফুলের গায়ে ক্রুর চিহ্ন আঁকে!


যার আর্তনাদ  আকাশে-বাতাসে বাজে
আরশমালা আল্লাহর কাঁপে,
প্রতিধ্বনি হয়ে আসে ফিরে
নরম মাটির নীরে,
নরম মাটি সেও কেঁপে ওঠে,
কাঁপেনা শুধু ওদের বুক,!
মনুষ্যত্ব কেমনে দেখাবে তুমি
তোমার ঐ সলজ্জ মুখ?


যাদের ব্যঘ্রতায় ডুকরিয়া ওঠে
মানব-মানবীর মন,
তাদের বিনাশে আজ মোদের
করিতে হইবে পণ।


নইলে সভ্যতা,হে জড় সভ্যতা
কুক্কর-কুক্করি সত্তা মাঝে
তোমায় খুঁজে পাবে।