(প্রাক্ কথনঃ একাকিত্ব যেকোন বয়সী মানুষের জীবনে এক চরম অভিশাপ।এই কবিতায় একটি বাচ্চার একাকিত্ব ও সেই সময়ে তার মানসিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।)
............................................................
(যখন) ঘড়ি কাঁটা সকালের রোদ মেখে
দশটা বাজার উল্লাস ধ্বনিতে ভাসে
প্রিয়জনরা চলে যায় নিজের কাজে
(তখন) এক রাশ বোবা কান্না গুলো আসে।।
(যখন) শহরের আনাচে কানাচে আড়মোড়া ভাঙে
ব্যস্ত জীবনের প্রানচঞ্চল উন্মাদনা
(তখন) আমার শূন্য ঘরের বিস্তৃত দীর্ঘশ্বাসে
শুরু হয়ে যায় একাকিত্বের আনাগোনা।।
(যখন) নিঃসঙ্গতা মেলে দেয় তার ডানা
বিষাক্ত ছোবল শরীরে ফুটে
(তখন) বোবা কান্না গুলো আসে
বিছানাতে মরি,নিস্ফল মাথা কুটে।।
(যখন) আলোর ভিতরে অন্ধকারের বাসা
চারিদিকে শুধু শব্ধহীন সব কথা
(তখন) এ পৃথিবীতে লাগে একা
হৃদয় জুড়ে রক্ত ঝরানো ব্যাথা।।
(যখন) ধীর গতিতে সেকেন্ড এগিয়ে চলে
সময়ের এক পাশবিক স্থবিরতা
(তখন) অস্থিরতা হাতছানি দিয়ে ডাকে
কুসুম মনে চঞ্চল বর্বরতা।।
(যখন) কথা বলতে না পারার যন্ত্রণা
সব আক্রোশ এক সাথে পড়ে ঝরে
নিমেষে খান খান হয়ে যায় খেলনা
প্রিয়জনেরা তখনও ফেরেনা ঘরে।।
(যখন) হঠাৎ চোখে বৃষ্টি নেমে আসে
মনের আকাশে জমে ছিল মেঘ যতো
(তখন) জানলাতে এলিয়ে পড়ে দেহ
মনের ভিতর প্রশ্ন অনেক শত।।
এমনি করেই কেটে গেছে আমার শৈশব
যেন,সৈকতের একাকী বেলা ভূমি
নিঃসঙ্গতা আমাকে আর পাবে না
আগুনে পুড়ে তৈরী হয়েছি আমি।।।