অতিমূর্খ বেতাল পথিক সে রাজনীতি আজ দিব্যি পথহারা;
কেতাবের পাতায় খোঁজে নিজের কেতাবি দোহারা চেহারা
রাতদিন পাগলের মতো। পার্কের লেকে ভাসমান হাসেহাসে,
ফুটপাতের দুপাশে নুয়েপড়া ঘাসেঘাসে
কেবলই হয়রান-বিরান হয়ে নিজেকে খোঁজে
সে আজ নিজের কাছে জানতে চায়- সে কি বোঝে,
যে সে পথ হারিয়েছে নাকি, পথ তাকে হারিয়েছে?
সে আবার ভাবে - সেতো বেশ মানিয়ে নিয়েছে
সবকিছু এতকাল, সেতো জানতো- সে-ই নীতির রাজা,
তবে আজ কেন তার এই অনর্থক-অন্যায্য সাজা-
পথে-ঘাটে অলিতে-গলিতে নিজেকে খুঁজে ফেরা;
এই কঠিন সাজা! কার কাছে হলো জিম্মি সে, কেন এই ঘেরাটোপে ঘেরা
তার দশা? সে আরো ভাবে- এ কোন আজব এক দেশ!
এখানে রাজনীতিকের ভেতরে সে! যেখানে সে অসহায়, একেবারে শেষ!
কোন রাজনীতিক নেই তার ভেতরে!
এটি সম্ভব কি করে-
যার চোখ ফোঁটেনি, যার বোল ফোঁটেনি,
যার দাঁত ওঠেনি
এখনো, তার ভেতরেও সে! যে চোখে দেখে না, যে পড়া জানে না
তার ভেতরেও সে! সে এটা মানে না, কিছুতেই মানে না;
কী করে মানবে বলো- রাজনীতি যার ক্ষমতার নেশা,
রাজনীতি যার লাভজনক এক পেশা
হয়ে যায়, তার ভেতরেও সে!
অবাক বেপার! আসলে তারা কারা, আর সেই বা কে?
রাজনীতি মনের ভিতরে মন লুকিয়ে ভাবে- আসলে সেতো আর ‘সে’ নাই;
সে এখন রীতিমত গালির পাত্র। আর দেখে না তার কোন মর্যাদার ঠাঁই
কোনখানে। সে ভাবে- তার ‘রাজ’ অংশটুকু আর কি আছে?
সে তো বাহারি ‘কু’ এর দ্বারা নিশ্চিত ‘ক্যু’ হয়ে গেছে…..
তার যত টক্সিক আকার-প্রকার,
সবকিছু তীব্রভাবে চর্চা করে ঘাটেঘাটে যত অবতার…..
তারা ভয়-ডর, লজ্জা-শরমে মরে না,
আর ভুল করেও কেউ ‘রাজনীতি’ করে না।
তারা দেখি এখন কুকথার ভাগাড়ে রীতিমত মল্লযুদ্ধ করে
এখন যেন তারা প্রত্যেকেই টাকশাল নিজেদের ঘরেঘরে….
গোল্লাছুট-প্রতিযোগিতা করে কেবলই টাকার পাহাড় বানায়
আবার পাহাড়ের চূড়ায় বসে বিলাসের সাতরঙা ফোঁয়ারা ছোঁটায়
তারা একেক জন এখন ক্ষমতার দুধারী তলোয়ার;
যাইতেও কাটে, আসতেও কাটে, কাটে শতবার
তারা এখন কেবলই ডি-নেচার্ড রাজনীতির একেক জন শতমাথা অবতার।