আমিঃ বলতো, ভালোবাসা কা’কে বলে?
তুমিঃ ভালোবাসা? ভালোবাসা মানে হলো তোমাকে ছাড়া আমি কিচ্ছু বুঝি না।
আমিঃ এইটা কেমন মানে হলো?
তুমিঃ তোমার এই বিশাল হৃদয়ে ছোট ছোট নক্ষত্র খুঁজতে আমি পারবো না।
                শুধু তুমি…তুমি... শুধু তুমি)। আচ্ছা’ তুমি ঝর্না দেখেছ?
আমিঃ এক দিন।
তুমিঃ কোনটা বলতো? নায়াগ্রা ফলস?
আমিঃ নাহ।
তুমিঃ তা’হলে?
আমিঃ তার চেয়েও বড়।
তুমিঃ তার চেয়েও বড় ঝর্না হয় নাকি? কোথায় দেখলে?
আমিঃ সেইদিন, যেদিন আমার অসুস্থতার খবর শুনে তুমি অঝোরে কেঁদেছিলে।
তুমিঃ আমি ভয় পেয়েছিলাম।
আমিঃ কিসের ভয়? হারাবার?
তুমিঃ জানি না, বলতেও চাই না। এবার বলো, কোন রঙ তোমার বেশী প্রিয়?
আমিঃ কালো।
তুমিঃ কালো? আমি’তো কালো নই।
আমিঃ তোমার কাজল কালো চোখ, যেখানে আমি দেখি স্বপ্ন রাশিরাশি।
তুমিঃ থাক, আর বলতে হবে না। কোন ফুল তোমার বেশী প্রিয়?
আমিঃ বেলী ফুল।
তুমিঃ কেন?
আমিঃ তোমার খোঁপায় ঐ ফুল যে খুব মানায়।
                এবার বলো রিক্সাতে না পায়ে হেঁটে?
তুমিঃ রিক্সাতে।
আমিঃ কেন?
তুমিঃ তখন যে থাকি খুব কাছাকাছি, তোমার সঙ্গে মিশে।
আমিঃ ফুচকা? না কি আইসক্রিম?
তুমিঃ এবার আমার পালা, সার্ট না’কি পাঞ্জাবি?
আমিঃ পাঞ্জাবি, কারন ওটাতে তোমার পছন্দ অনেক ভালো।
                এবার বলো ফুচকা না’কি আইসক্রিম?
তুমিঃ দুটোই।
আমিঃ তা’ হবে না, যে কোন একটি।
তুমিঃ তাহলে ফুচকা, না না না আইসক্রিম।
আমিঃ জানি দুটো’ই তোমার প্রিয়। এবার বলো আকাশ? না-কি নদী?
তুমিঃ হুম...আকাশ, যেখানে আমি উড়ে বেড়াই মুক্ত বিহঙ্গে।
চৈত্রের গরম? না-কি কণকণে শীত?
আমিঃ কণকণে শীত।
তুমিঃ কেন?
আমিঃ যেন আমার বুকে ওম পেতে আশ্রয় খোঁজ। এবার বলো বৃষ্টি? না’কি রোদ?
তুমিঃ বৃষ্টি, অঝোরে বৃষ্টি। সারাদিন তোমায় নিয়ে বৃষ্টিতে হাঁটবো।
আমিঃ আমিও। এবার বলো, সন্ধ্যা? না’কি ভোর?
তুমিঃ মধ্যরাত্রি।
আমিঃ সেটা তো প্রশ্নে ছিল না।
তুমিঃ মধ্যরাত্রি থেকে তোমার সাথে কথা বলতে বলতে পাখী ডাকা ভোর পর্যন্ত।
        এবার বলো, শাড়ী? না’কি জামা?
আমিঃ অবশ্যই শাড়ী।
তুমিঃ অবশ্যই শাড়ী কেন?
আমিঃ ভাল লাগে শুধু নীল শাড়ী ভেজা চুলে, ভাল লাগে শুধু নূপুর পায়ে বেলী
                ফুলে।
তুমিঃ হয়েছে হয়েছে, এবার বলো আমি মরে গেলে তুমি আমায় এভাবেই
                ভালোবাসবে? না’কি বাসবে না?
আমিঃ ... আর কোন প্রশ্ন নয়, শুধু ভালোবাসা।