বিরহ কাল নাতিদীর্ঘ
কেনোযে শতাব্দীর মত দীর্ঘ মনে হয়
অপেক্ষার সময় তবু শেষ হয়
আমারা বিরহ কালের এক বছরের শেষ প্রান্তে
প্রায় একটি বছরে আমাদের দেখা হয়নি,
কথা হয়নি,
হয়নি কোন শুভেচ্ছা বিনিময়।


কিছুটা সংশোধনী, হয়েছে দেখা
দুই একবার
চোখে চোখ পড়তেই
দৃস্টি সরিয়েছি ঘনমেঘ-অভিমানে
চোখ সরে গেছে ঘুরে গেছে অন্য কোনো ভুবনে
দুজন দুজনকে দেখেছি
পথে পড়ে থাকা মৃত পাতা দেখার মতন
কোন ছোট গল্পের শুরু হয়েছিল হৃদয় গভীরে? কেউ তা জানিনা
দুজন দুইপথে হারিয়েছি হারাবার প্রয়োজনে
দিয়েছি পাড়ি অজানার পথে
দুজন দু'দিকে চলে যেতে যেতে
ফিরেকি দেখেছি একবারও?
বলতে পারিনা
হয়তো বিষন্ন মন ছিল
তাইকি কেউ বলিনি, কেমন আছো তুমি?
না দেখার পড়ে থাকা সময় কেমন ছিলে তুমি!
কেমন ছিলাম আমি!
তা'তে কার কিইবা আসে যায়?
কেউ কিছু বুঝিনি।


আমারা বিরহ কালের এক বছরের শেষ প্রান্তে
থেমে থাকেনি কিছুই
যেমন নদীর ঢেউ,
প্রতিদিনের সূর্য ডোবা সূর্যাস্ত
পাখিদের কিচিরমিচির রব
মাঝ রাতে বুনো শিয়ালের ভয়ার্ত আর্তনাদ
পানকৌড়িদের ডুব সাঁতার
সারিবেঁধে বুনো হাঁসেদের ঘরে ফেরা
কিছুই থামেনি
আমাদের দেখা হয়নি গত এক বছর
আমাদের বিরহ কালের এক বছরের শেষ প্রান্তে
অথচ কেউ জানিনা কেমন বেলা
কেমন কেটেছে রাত্রি।


অবিরাম বৃষ্টি ধারা
সিক্ত হয়েছে শুস্ক মাটি
রোদে পোড়া ঘাস
ধুয়েছে সকল ধুলিকনা।
অথচ না বলা যত অভিমান
পুঞ্জিভূত সময়ের দীর্ঘ জমাখাতায়
এখন রাত্রি বেশ
প্রায় শেষ শেষ
কথা ছিল যত
হয়েছিল অবিরত
ভুলে সব কস্ট জ্বালা
এখন ঘুমানোর পালা
অথচ এই চোখ নিস্পলক তাকিয়ে
তারা ভরা আকাশের দিকে।
গত একটি বছরে কত তারা নিভে গেছে
কত তারা জ্বলে গেছে নিরলস একাকী
চাঁদের বুকে দেখা যায়নি সেই বুড়িটাকেও
একটি বছর হাসেনি রূপালী চাঁদ নদীর জলে।


আমারা বিরহ কালের এক বছরের শেষ প্রান্তে
আমাদের বিরহ কালের এক বছর পূর্তি হতে চলল।


সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২, টরন্টো