আমি যখন আঠারো বছরে পা দিয়েছি –
তখন জেনেছি তোমার সকল সংশয় ।
তুমি ছিলে কলমিলতা'র ডগার মত কোমল
আর ভোরের আলোর মত স্নিগ্ধ ।


যখন আমার বয়স কুঁড়ি –
তখন জেনেছি তোমার অব্যাক্ত ভাষাগুলো ।
তোমার নির্বাক দৃস্টি
আমায় ভুলিয়ে দিতো সমস্ত পরাজয় ।।


আমার বাইশ বছরের সময় –
আমি জানলাম তোমার অভিমানের কথা ।
যেন ইচ্ছা বিরুদ্ধ অভিমানই ছিলো
আমার জন্য তোমার উপহার ।।


আমার বয়স যখন চব্বিশের কোঠায় –
তখন জানলাম তোমায় নতুন করে ।
যেন নতুন নামে সাজালে তোমায় নিজেকে ।


যখন আমি ছাব্বিশ বছরের একজন পরিপূর্ণ যুবক –
তখন জানলাম তোমার পাষন্ড হৃদয়ের চিত্র ।
যেন পৃথীবির যাবতীয় কঠিন পদার্থের মত
তোমার হৃদয়ও ছিল একটি দুর্ভেদ্য সৃস্টি ।
যা'কি না আমার এতো দিনের সমস্ত বিশ্বাস'কে করেছে বিদ্ধস্ত ।