ঘুম থেকে উঠেই জানলাম আজ তোর জন্মদিন –
এতদিন পাশাপাশি ক্লাস করেছি, হেঁটেছি, গল্প করেছি,
অথচ, কেন জানিনা তোর জন্মদিনটাই জানা হয়নি কোনদিন।


তোকে নিয়ে এত দিনের কত স্মৃতি, বন্ধু উপাধী,
এত গল্প, এত কথা, কি করে যে হলো না জানা,
সেই কারণে নিজেকে মনে হচ্ছে ভীষণ অপরাধী।


জন্মদিনের কথা শুনে মনটা আজ বেশ উড়িউড়ি,
জন্মদিনে তোকে ফুল দিবো নাকি সখের কবিতার বই,
বুঝে উঠতে পারছি না, না'কি নীল শাড়ি বা কাঁচের চুড়ি?


সময়ে অসময়ে রিক্সায় পায়ে হেঁটে কত ঘুরেছি,
তোর কথা ভেবে হইনি কখনোই এতোটা নার্ভাস।
জানিনা, আমি শাড়ি বা কাঁচের চুড়ির কথা কেন ভাবছি?


তোকে নিয়ে আমার হৃদয়ে দোলা হয়নি কোন কালে,
বুঝতে পারছিনা বিষয়টা ঠিক তুই নিবি কেমন করে
তাই ভয় হয় আবার এতদিনের বন্ধুত্ব না যাবে চলে।


কত সময় পেরিয়েছি একসাথে হাতে রেখে হাত,
তুই আমার প্লেট থেকে ফুচকা খেয়েছিস বহুবার।
তোর আধো খাওয়া আইসক্রিম নিয়ে পালিয়েছি দৌড়ে।


তোর হাতের মার খেয়েছি, বকা খেয়েছি যে কতবার।
সেই তুই আবার আমাকে ঝাপটে ধরেছিস জনসম্মুখে যখন তখন।
তোকে নিয়ে আমি এইভাবে ভাবিনি কখনো কোনদিনও।


সেই প্রথম থেকেই তুই'তে দাঁড়িয়েছিল আমাদের বন্ধুত্ব
মনের অজান্তে তোকে 'তুমি' বলে ফেলেছি কয়েকবার।
তাহলে কি তুই আমার শুধু বন্ধু? না কি অন্য আরো কিছু?
নিজের অজান্তে কেন তবে তোকে 'তুমি' বলছি বারবার?
মনের ভুলে তোর চোখে কিছু আবার ধরা পরে যাইনি তো?


তোকে হারানোর কষ্ট মনে হয় সইতে পারবোনা আমি,
থাক তবে 'তুমি' আমার কাছে বরং 'তু'ই থাক।
নীল শাড়ি-কাঁচের চুড়ি আর ফুল না হয় থাক অন্তরালে,
প্রিয় বইই হোক তোর জন্মদিনে আমার প্রীতি উপহার,
যদি কখনো কোন কবিতায় খুঁজে পাস আমার মনের কথা,
যদি তুইও কখনো ভাবিস আমার মতো করে কোন একদিন।