ক্ষয়ে গেছে পৃথিবীর ভর বলয়,
অক্ষের কক্ষ আর জীবনের প্রত্যাশা।
খুব হিমেল গন্ধ গ্রন্থির সন্ধি লালায়।
আমি রাতভোর রুপকথা খুঁজি অলিন্দে।

বিষন্নতা কুরে খায় আয়ূরেখা-
ঈশ্বরকে দিব্যি বুড়ো আঙ্গুল নাচিয়ে।
আমি জীয়নকাঠি খুঁজি তালপুকুরে
ভ্রমরের বুকের ভাঁজে,
অন্তত তোমার স্বপ্নতো বেঁচে থাকুক।

সেই কবেই তো কফিনে বন্ধি আয়ূষ্কাল-
বিভাজিত ভূমির সামন্ত রেখায়।
ঔরঙ্গজেবের রাজর্ষিক সীমায়-
ঘোড়দৌড়ের দ্বিপ্রহরের চিঠি।
মলিন ভাঁজে বহিছে আজ্ঞা- পথ ছাড়ো।

আমার শিরায় বরেন্দ্র- সূর্যসেন ,
ইলামিত্রের তেভাগা-
মানবিক হরণ বুঝেনি বলে
আজো প্রান্তে -ক্ষয়িষ্ণু সময়ের হাত ধরে স্বপ্ন আঁকি
দিনের স্বপ্নে জাগি ভোরের মত,নরম রোদের রং মেখে।
তুমি এখনো অবরুদ্ধ বিকাল,
অবগুণ্ঠনের আঁচল উড়াও নুয়ানো রোদের ভাঁজে-
তৃষিত জোৎস্নার অরক্ষিত চাঁদ।