ফুলের রাণীর ভরা যৌবন
                        বিয়ের বয়স তাই
সকল ফুল সভায় বসেছে
                        বর যে কোথায় পাই?
বেল, কদম,রজনীগন্ধা
                       ফিরে ফিরে চায়
টগর ফুল মুসকি হেসে
                       এটা চিন্তার বিষয় নয়।
সূর্যমুখী দাড়িয়ে বলে
                      আমি কিন্তু রাজি
কুমড়ো ফুল মাথা নাড়িয়ে
                         তাহলে ডাকি কাজী।
পলাশফুল মেয়ের ভাই
                          সবাইকে সুধাই
বোনকে আমার বিয়ে দিতে
                          ভালো পাত্র চাই।
বেলী ,জুঁই, হাসনাহেনা
                      এরা তিনজন দাড়ায়
বোনের জন্য যোগ্য বর
                        নেই যে এই পাড়ায়।
শাপলাফুল মুরুব্বি
                        শোনে মন দিয়ে
ফুলের রাণীর বিয়ে আমি
                     কার সাথে দিব দিয়ে।
পদ্মফুলএসে বলে
                       সবারে জানাই
বিয়ে দিলে আমার সাথে
                        আপত্তি আমার নাই।
শালুকফুল দাড়িয়ে
                      আমিও কিন্তু রাজি
কুমড়োফুল মাথা নাড়িয়ে
                      তাহলে ডাকি কাজী।
বকুল, লিলি, শিউলি
                     এরা তিনজন দাড়ায়
সইরে মোদের বিয়ে দিতে
                      যাবো অন্য পাড়ায়।
শাপলাফুল চিন্তায় মগ্ন
                     ঘটক কোথায় পাই?
চালতাফুল, হুকুম পেলে
                      ঘটকের খোঁজে যাই।
মৌমাছি নাচি নাচি
                       ফুলে ফুলে যায়
হুকুম পেলে মৌমাছি
                       ঘটক হতে চায়।
মৌমাছি নাচি নাচি
                   শাপলাফুলকে কয়
এমন বর এন দেব
                      আমার হবে জয়।
মৌমাছি চলে যায়
                     সবাইকে দিয়ে সালাম
যোগ্য বর এন দিলে
                     পাবে তুমি এনাম।
টগর দাড়িয়ে, রাগান্বিত স্বরে
                           অামি টগররাজ
আমার শিরে উঠবেনা
                    ফুলের রাণীর তাজ।
আমার থেকে ভালো বর
                      পাও যদি এ ধরায়
কসম কেটে চলে গেলাম
                     থাকবোনা এ পাড়ায়।
শাফলাফুল এবার সুধায়
                          ওহে ফুল কূল?
মিছে মিছে রাগ করে
                 তোমরা করছো কেন ভুল।
মৌমাছি নাহি যদি
                     বর খুঁজে পায়
তোমাদের থেকে একজন আমি
                            নেব মিলায়।
এ কথাতে সবার, মুখ হলো বন্ধ
                    সবার চোখে দেখা গেল প্রাপ্তির আনন্দ।
সাতদিন পরে মৌমাছি
                        আসে নাচি নাচি
এনাম নিয়ে চলে যাবো
                        সকলের কাছ থেকে আজি।
আনন্দের সুরে মৌমাছি
                        শাপলাকে বাতায়
ফুলের রাজা আছে শোন
                             পাশের পাড়ায়।
গন্ধরাজ নাম তার
                       শোন মন দিয়ে
ইচ্ছে হলে তার সাথে
                        গোলাপের, দিতে পারো বিয়ে।
গন্ধরাজের নামে, গোলপের
                        মুখে ফুটলো হাসি
ওরে তারে যে, আমি সই
                            খুব ভালোবাসি।
শোন, শোন ফুল কূল
                         মিনতি তোমাদের
গন্ধরাজের সাথে বিয়ে দিলে
                           আমার ঘর হবে সুখের।
এ কথাতে সকলের চোখে
                           জল আসলো নেমে
হাসি আনন্দ সব কিছু
                            আস্তে গেল থেমে।
শাপলাফুল হাসি হাসি
                         মৌমাছিকে সুধায়
বিয়ের দিন ঠিক করে
                     তাড়াতাড়ি জানাও আমায়।
মৌমাছি নাচি নাচি
                        শাপলাকে জানায়
শুক্রবার হবে বিয়ে
                       বলেছে জবায়।
কুমড়োফুল মাথা নেড়ে
                     আমিও কিন্তু ছিলাম রাজি
ও কথা থাক এবার আমি
                        নিয়ে আসি কাজী।
শুক্রবার জুম্মার পর
                       হলো তাদের বিয়ে
ফুল কূল বিদায় নিল
                          কাধেঁ কাঁধ মিলিয়ে।
বর পেলাম বিয়ে হলো
                         আশা হলো শেষ
গোলাপ, গন্ধরাজের সংসার জীবন
                         কাটছে বড় বেশ।