রোজ বিকেল তিনটায় দেখা হয় তোমার সঙ্গে,
তুমি নিঃসঙ্গ অপাঙ্গো খরসর বসে থাকো
আমিও একেলা রোজ তিনটায় নামি সিঁড়ি বেয়ে,
ওদিকটায় তাকাও মিষ্টি হাসো রোজই,
পাশাপাশি ফ্ল্যাটে আমরা থাকি,
ফ্ল্যাট না বলে চিলেকোঠা বলাই ভালো,
হাটুতে মুখ রেখে চোখ তুলে আড়চোখে তাকিয়ে আছো, রোজ তিনটায়
সিঁড়ি বেয়ে নামবো বলে।
আমি নামছি না কেন?
তোমার রক্তে সমূদ্রের উত্তাল তরঙ্গো খেলা করছে-
আজ দেখা হবে না তাহলে?
দীর্ঘশ্বাস ঝড়ের মতো বইছে বইছে স্নায়ুতন্ত্রে-
তুমি ঠিক থাকতে পারছো না,
রোজই দেখা হয় আজ নয় কেন?
আমারও আপাদমস্তকে অনুরনিত তোমার ঘ্রাণ।
নিঃশ্বাসে বইছে ঝড়, রক্তে সূর্যের উত্তাপ, কী যে ভালো লাগতো যদি আজও দেখতাম
লাজুক মৃদু হাসির ঢেউ তোমার ওষ্ঠাধরে।
পরদিন রোজ তিনটায় আবার,
তোমার রক্তচোখ আর মিষ্টি মুখ,
এই প্রথম আমায় জিজ্ঞেস করলো,
গতকাল তিনটা বাজেনি?
তোমার আর আমার প্রথম কথার উত্তর দিলাম,
এই মাত্র স্নান সেরে এসেছো বুঝি
এরপর সারাদিন তিনটা বাজবে রোজই।