বিষণ্ণ দিনের শেষে তুচ্ছের মায়াতে হাহাকার ভেঙে ঝড়ে যায় মানুষের অকৃপণ আশা। এ নিখিল বিশ্বে আলপিনরুপী প্রহর বয়ে যেতেই থাকে আর কথাদের দীর্ঘ ছায়া চিরকাল দীর্ঘ থেকে আরো দীর্ঘতর হতে হতে ছুয়ে যায় রসপায়ী মহিমার বিশীর্ণ বসুধা। সংসারে থাকা শুকানো সবুজে মিশে থাকে শানিত কুটতর্কের জটাজাল আর উন্মুখ বাসনার গভীরে কেঁদে চলে নিত্য দিশাহারা বেদনার মতন অতল অদৃশ্য সে প্রচন্ড যৌনবোধ!


আমাদের সাংসারিক ভাষার তলে কাপঁতে থাকে সুত্রহীন চিন্তার মতন চঞ্চল আকুলতা। এ আকুলতা ফুটে ওঠেনা, দেখেনা কেউ, জানেনা কেউ। অনুপম হাসির তলে চাপা পরে বেদনা সুরে মথিত হৃদয়। শুধু, মাংসকাটার গান হয়ে অতীতহীন যুবতীর দল যখন ছড়িয়ে যায় প্রতি মানুষের মুখে আর গোটা কলোনীর আকাশে, আমিও মেলে ধরি লুকানো সেই চঞ্চল আকুলতা। ফুটে উঠুক, দেখুক আর জানুক সবাই আমিও আশা করি অতীতহীন যুবতীর হাহাকার বোঝাই স্তনে মুখ দিতে আরো আশা করি আবেশে চঞ্চল দেহ হতে প্রচন্ড মায়া উঠুক ফুড়ে!


বিষণ্ণ দিনের শেষে তুচ্ছের মায়াতে হাহাকার ভেঙে ঝড়ে যায় মানুষের অকৃপণ আশা । পরম শুন্যতা জুড়ে স্থির হয়ে থাকে শুকনোপাতা ঝরে যাওয়া গাছের শাখা। অবগূঢ় অন্ধকার ধেয়ে আসে প্রচন্ড নিয়তি পানে। খাড়া কানে শুনি আমি রুদ্ধবাক স্বরে কেউ পড়ে যায় আয়ুর শ্লোক আর প্রচন্ড বিলাপে আজ করে হায় হায়। চোখের কাজ দৃশ্য হজম তাই বিলাপ ভুলে ফের চেয়ে দেখি আমাদের জন্মের সেলাই খুলে খুলে তার ভিতরে গল্প করে অতীতহীন যুবতীর দল!



২২/০১/২০১৮