বেনীমাধব আজ অজ পাড়াগাঁতে থাকে
চার কুড়ি এসে কড়া নাড়ে দরোজায়
চারপেয়েদের অমায়িক ভালোবাসা
ইচ্ছেগুলোয় রসদ জুগিয়ে যায় l
মানুষগুলোয় মরচে ধরেছে খুব
স্বার্থের দরে ভেসে গেছে জনযোগ
ভাবলেশহীন এ শহর কুয়াশায়
দু"চোখ ছেয়েছে বিষাদের ঝাপসায় l
সেকালের খড়কূটো
বেণীমাধবের ঘরে
আজ এলোমেলো খেলা করে l
সেই দিদিমণি নাম যেন কি
ভালো আছে নিশ্চয়ই
বরের পাতানো সুখের বরাতে আছে সংসার ভরেl


মলিন হয়েছে জরায় শরীর টলোমলো শৃঙ্গার
এলো নাতো কেউ
দু'হাত বাড়িয়ে আজ নেই
ভরসার l
মালতীবালায় আজো ক্লাশগুলো ভরা আছে
কলরব, সেই বান্ধবী সুমধুর হাসি
একসাথে অপলক
কেঁপেছিল চোখ হৃদয়ে তখন
সর্বনাশের ক্ষণ
কিজানি কেন যে ওঠাপড়া বুক
চোখ লাগে অকারণ।
সেই হৈ চৈ কবাডি লুডোর
টিফিন গিয়েছে থেমে
বেণীমাধব এই কুড়ের দেয়ালে
ছোট্টবেলার ফ্রেমে l
একলা ছাতের কার্ণিশ জুড়ে ফেলে আসা হাতছানি
এই ঘরে আজ জ্যোৎস্না ঢোকেনা বালিশেই রাহাজানি l


হৃদয়ে শেকল খিল্ দিয়ে গেছে কালের
পড়শি জ্ঞাতি l
এই নাম নাকি অলক্ষুণে অপয়া
নামেই খ্যাতি l
আগুণ জ্বলেনি কোথাও,আজো নেই প্রতিবাদ কোন l বেণীমাধব হায় ! কতকাল আর মেনে নেবে শাপগুলো?
আসবে প্রভাত কেটে যাবে রাত নেমে এস লোকালয়ে I বেণীমাধব আজ উঠুক আওঁয়াজ শেষ হোক পরাজয়I



** কবি জয় গোস্বামীর " মালতিবালা বালিকা বিদ্যালয় " কবিতাটির পরিপ্রেক্ষিতে আমার নিবেদন। [ সবটাই  কাল্পনিক ]