কবেকার খড়কুটো ধুয়েমুছে গেছে
গলিত চর্বণে,দু'গালে উৎরাই
বিস্তৃত চড়া, দাঁতে কাটা উলু ঘাসে
তামাম ঠিকানা l


একদিন ডেকেছিল পূর্বাশার মৃত দুই চোখ
আমিও সেদিন মোহগ্রস্ত পথিকের মত
ঢেকেছি সাদরে, অশ্রুবিন্দু দিয়ে মৃত হাত ছুঁয়ে
দেখি খোয়া গেছে যাবৎ অঞ্চল l


তবু ওর ছায়া এসে পড়ে ক্ষেতজুড়ে বিষাদ জনতা
রেখে আসি আমারেই l
কে যেন গোপনে ডিল্ বেঁধে উৎসর্গ করে গেছে
বেদনার কানাকানি, কে কোথায় ছুঁয়ে বিশ্বাস
ঢেলেছে অগাধ অশ্রুজল, তবু ওর ওষ্ঠ ছুঁয়ে দেখি
পূর্বাশার মত কিছু আছে নাকি l


হৃদয়ের ধারেকাছে পঞ্চবহা নদী
খরস্রোতা ঢেউ, পূর্বাশার মৃত বুকে তবুও উত্তাপ
ঝঞ্জার ক্ষোভ ওঠাপড়া, ফেলে দেওয়া
ঢেউয়ের কিনারে দুধ হয়ে জাগে চরাচর l


মিছিলের দলে নখ দাঁতে শুধু কাড়াকাড়ি
পৃষ্ঠাগুলো মুড়ে দেয় নির্বিঘ্ন জনতা
পূর্বাশারা বেঁচে যায় মৃতের মতন l


ভোরের দরজা নৈমিত্তিক শ্বাসটুক নিয়ে
দোর দেয় ফের, তথাপি
দিনান্তের ক্ষুন্নিটুক গিলে চোখ রাখি
ওর নভ্যোতলে l


মনের দু'পাশে রেখে দিই ক্ষোভ,অযুত বিষাদ
হাতে পায়ে দলাদলিগুলো
শহরের ধার ঘেষে চলে যায় কারা কবে যেন
ওর দীর্ঘশ্বাসে দেখেছিল স্রোতের জোয়ার
চোখে তাই যুঁই ফুটেছিল
ছুঁয়ে দেখি মৃতের মতন
কাঁধ বেয়ে বেঁকে গেছে শহর নগর l


হাঁক পারি "আছো না কি"?
সহস্র জলতল অজস্র উত্তাল বলে
"আছি আছি নথির মতন "