যেখানে একজন দাঁড়িয়ে থাকত প্রায়ই
ঠিক চৈত্র অথবা শীতার্ত চাদর মুড়ে
পাতাঝড়া গাছটার আশেপাশে, অথচ দু ঠোটের আশ্চর্য মুমূর্ষতায় কোন সংলাপ হয়ে ওঠেনি কখনও।
ঠান্ডা হিমেল হাওয়ার মত নিস্প্রভ ঠান্ডা
হাওয়ার আবহে দুলে উঠত এক একটি সংলাপ বৃন্ত ছিড়ে অদৃশ্য ঝঞ্ঝার মত।
ঘেষাঘেষি বাঁচিয়ে ,ভীড় আড়াল করে
চলত সে। ভীতু কিশোরীর মত গুটিয়ে যেতাম আমি
ভয়ে ? নাকি ত্রাসে ?
আপন মনে চলে যেত, ফেরেনি কোনদিন
লোকালয়,হাঁটাপথ,স্টেষণ,গাড়ী,চত্ত্বর কোত্থাও না।
রাত্রির জীর্ণতা ছিড়ে ভেজা টাওয়েল শুষে নিত সবটা,ভোর হলেই উড়িয়ে দিত,
সারারাত আমি ওকে বলতাম কেমন করে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল গোটা সাম্রাজ্যটা। ও যখন গোলাপ পরিয়ে দিচ্ছিল অন্য কোন খোপায়, আগুণ লেগেছিল আমার আলক্ষেত জুড়ে, কর্ষভারে বিক্ষিপ্ত মাটিতে ওর বীজ রোওয়া
মন পরে থাকত কত জিজ্ঞাসায় , টুকরো গুলো একত্রে জুড়লে যে কোন প্রেমিক ফিরে আসতে বাধ্য।
স্মৃতির মন কেমনকরা রোদ্দুরে ঠায় একটা মানুষের অপেক্ষায়।
যখন একটাও গান নেই,একটাও প্রেম নেই,এলোনা সেও !
গান সেজে ফিরে গেছে রুপসার কারুকক্ষে ,থরে থরে সাজানো বৈভের আঘ্রাণ , বৃন্ত চুইয়ে পরছে নৈবেদ্য ডালি
আমি একখন্ড সাদা বস্ত্রে লজ্জা মুড়ে ঠায় পথপ্রান্তে।
কি ভীষণ পরিতাপের ! কি ভীষণ লজ্জার
যখন সর্বগ্রাসী ক্ষুধার আর্তক্ষণ ছড়িয়ে পরছে চতুর্দিক
হঠাৎই অদৃশ্য হল সে!