তিরতির মহুয়ারা আমন্ত্রিত ঢের
           আত্মহারা চাঁদমুখ সরসী কপোল
ঢুলুঢুলু ইশারার করেছে সন্মান
            বেণীহারা কবরীর আঁধার ভূতল
খেলা ছেড়ে গেছে কবে যুগের অতল
             জোড়াছাপ রয়েছে আড়ালে
ধূলিময় আগোছাল্ নির্বিরোধ চোখ
             চেয়ে আছে আ-জীবন জ্বেলে
গুটিয়েছে যাবতীয় বাহবার ক্ষণ
             ঘাটে-মাঠে শিহরণ ক্লান্ত বকূল
ফলেছিল নিরুদ্দিষ্ট বিবর্ণ মাটিতে
             বসন্ত আঘ্রাণের পুরষ্কৃত ফুল
নুয়েছিল ডালে তার ডালিম পিপাসা
             আর্ত হয়ে বরষা প্রেয়সী
মহুয়ার ছাট্ দিয়ে ইশারা ইঙ্গিতে
             উচ্ছসিত প্রাঙ্গণ জোট অন্য শশী
চাঁদ তাই আত্মহারা গাছের মতন
             নেমে গেছে তফাৎ যোজন    
জ্যোৎস্নার আলোময় আমন্ত্রণী সুর
             মাঝে চাঁদ মোহময় যুগ্ম আলিঙ্গণ।


ছবি ছিল চিত্রকর মোহের স্বপন
             জোড়া হল বুভুক্ষের ক্ষোভ
পট জোড়া অবসাদ বিষাদ প্রবল
             অপরাহ্ন ভুল হয়ে জ্বলন্ত বিক্ষোভ
ক্ষতি ছিল মুষ্টিমেয় না জানার ভান্
             অযথা আলোর বিরহ
সোজা পথ অবহেলা সহজ প্রভেদ
             পাতো কান প্রান্তরে মোহ
আমদানী হল গাছ পাতা,মূল,ফল
             আমন্ত্রণী সানায় রোশনায়
ঘর ছেড়ে পলাতক্ স্বাক্ষর বেবাক
            কে যে কার চেনা বড় দায়
মাঠ জোড়া খ্যাতিদের যতেক মূরতি
             ঝিঁ ঝিঁ ডাক্ যুগের প্রভাতে
অবকাশ মিছিলের কোরাস শ্লোগানে
             ফিরে দেখি অমানিশা ব্যর্থ সংঘাতে
পথগুলো জোড়াতালি আগোছাল্ নুড়ি
            ঝড়া পাতা জীর্ণতার বৃত্ত ছায়ায়
মড়া গাছ স্বেদ ঝেড়ে পথের গোড়ায়
            চুপে রাখে আমন্ত্রণ শেকড় তলায়।